শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড চলতি বছর বিনিয়োগকারীদের জন্য ঘোষণা দিয়েছে সর্বোচ্চ নগদ লভ্যাংশের—৬৪ শতাংশ। তবে, লভ্যাংশে নতুন রেকর্ড গড়লেও কোম্পানির মুনাফা গত অর্থবছরে কিছুটা কমেছে।
২০২৪–২৫ অর্থবছরে কোম্পানিটি মুনাফা করেছে ৬৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, যা আগের বছরের ৬৭ কোটি ৫ লাখ টাকা থেকে প্রায় সাড়ে ৫ শতাংশ বা পৌনে ৪ কোটি টাকা কম। রবিবার (৫ অক্টোবর) কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে এই তথ্য প্রকাশ করেছে। এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের সভায় আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়।
কোম্পানির ঘোষণামতে, প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে শেয়ারধারীরা পাবেন ৬ টাকা ৪০ পয়সা নগদ লভ্যাংশ। অর্থাৎ, যাঁদের হাতে কোম্পানির শেয়ার রয়েছে, তাঁরা বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) অনুমোদনের পর এ লভ্যাংশ পাবেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সাল থেকে ইবনে সিনা ফার্মা যে লভ্যাংশ ঘোষণা করে আসছে, তার মধ্যে এটিই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ হার। আগের অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ারধারীদের ৬৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।
এবার ঘোষিত লভ্যাংশে ব্যয় হবে প্রায় ২০ কোটি টাকা, যা কোম্পানির মোট মুনাফার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। এর মধ্যে প্রায় ৯ কোটি টাকা পাবেন উদ্যোক্তা-পরিচালকেরা, যাঁদের হাতে কোম্পানির প্রায় ৪৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা, যাঁদের হাতে রয়েছে প্রায় ৩১ শতাংশ শেয়ার, তাঁরা পাবেন প্রায় ৬ কোটি টাকা। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা (যাঁদের হাতে রয়েছে ২৫ শতাংশ শেয়ার) পাবেন প্রায় ৫ কোটি টাকা।
তবে রেকর্ড লভ্যাংশ ঘোষণার পরও মুনাফা কমে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে শেয়ারবাজারে। রবিবার লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ২ টাকার বেশি কমে ৩০৫ টাকায় নেমে আসে। এই সময়ের মধ্যে প্রায় ১৭ হাজার শেয়ার হাতবদল হয়।
শিল্প বিশ্লেষকদের মতে, মুনাফা সামান্য কমলেও ধারাবাহিক লভ্যাংশ প্রদান এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থার কারণে ইবনে সিনা ফার্মার বাজারে অবস্থান এখনো স্থিতিশীল। তারা বলছেন, এ ধরনের নিয়মিত মুনাফা ও লভ্যাংশ ঘোষণাই কোম্পানিটিকে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগকারীদের কাছে আকর্ষণীয় করে রেখেছে।