দেশের বস্ত্র ও তৈরি পোশাক খাতের ভালো কোম্পানিগুলোকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত করতে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। বৃহস্পতিবার ডিএসই পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে বৈঠকে এ আশ্বাস দেন সংগঠনটির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান।
বৈঠকে ডিএসই চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম, পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, রিচার্ড ডি রোজারিও, মিনহাজ মান্নান ইমন, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আসাদুর রহমানসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, কোনো কোম্পানি ডিএসইতে তালিকাভুক্তির আগে বিজিএমইএ প্রাথমিক সার্টিফিকেট বা অনাপত্তিপত্র দিতে পারে। এতে কোম্পানিগুলোর যোগ্যতা যাচাই ও মৌলিক ভিত্তি নির্ণয়ে সহায়তা পাওয়া যাবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পোশাক খাত মূলত ক্রেতাকেন্দ্রিক। বিজিএমইএ সদস্যদের সঠিক ক্রেতা ও ব্যবসায়িক অংশীদার চিহ্নিত করতে সহায়তা করে। তাই যারা দক্ষভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে, তাদের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত করা হবে।
বৈঠকের শুরুতে ডিএসই চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, গার্মেন্টস শিল্প দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি। এটি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, কর্মসংস্থান এবং সহায়ক শিল্পের বিকাশে বড় ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে ডিএসইতে গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল খাতের ৫৮টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে।
তিনি আরও জানান, গত বছরের অক্টোবরে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে ডিএসইকে একটি স্বচ্ছ ও গতিশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার কাজ চলছে, যাতে এটি দীর্ঘমেয়াদি মূলধনের উৎস হয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যে অবদান রাখতে পারে।
ডিএসই পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, পুঁজিবাজার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বড় প্ল্যাটফর্ম হলেও আন্তর্জাতিক মানের ভ্যালুয়েশন ও বিনিয়োগ কাঠামোর ঘাটতি রয়েছে। অতীতে অনৈতিকতা ও দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে অনেক উদ্যোক্তা অংশ নিতে পারেননি। তবে নতুন বোর্ড স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে।
পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, গার্মেন্টস খাতে কর্মরত বিপুল সংখ্যক মানুষকে বিনিয়োগকারীর ভূমিকায় আনতে পারলে এটি হবে যুগান্তকারী পরিবর্তন। এতে পুরো অর্থনীতিই আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে।
বৈঠকের শেষে ভারপ্রাপ্ত এমডি মোহাম্মদ আসাদুর রহমান জানান, পুঁজিবাজারে গার্মেন্টস খাতের কোম্পানিগুলোর তালিকাভুক্তি প্রক্রিয়া ও সুযোগ নিয়ে বিজিএমইএকে সঙ্গে নিয়ে একটি সেমিনার আয়োজন করা হবে। সেখানে মূল বোর্ড, এসএমই বোর্ড ও অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্তির সুযোগ তুলে ধরা হবে।