গত সপ্তাহে (১২–১৬ অক্টোবর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেয়ারবাজারে চাপ লক্ষ্য করা গেছে। পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন দিনই অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দরপতন হয়েছে। এর ফলে সব সূচক ৩ থেকে ৪ শতাংশের বেশি কমেছে এবং ডিএসইর বাজার মূলধন এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা কমেছে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৯৬টি সিকিউরিটিজের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৫৬টির, কমেছে ৩২৬টির এবং ১৪টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহের ব্যবধানে ১৬৪ পয়েন্ট বা ৩.১১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫১১৯ পয়েন্টে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৫২৮৪ পয়েন্ট।
ডিএসইর বাছাই করা ৩০ কোম্পানির শেয়ার নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৬৫ পয়েন্ট বা ৩.২০ শতাংশ কমে ১৯৬৮ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক (ডিএসইএস) কমেছে ৪৮ পয়েন্ট বা ৪.২৩ শতাংশ এবং সপ্তাহের শেষে দাঁড়িয়েছে ১০৮৬ পয়েন্টে।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৫২২ কোটি ২২ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ২১ শতাংশ কম। সপ্তাহজুড়ে মোট লেনদেন হয়েছে ২৬১১ কোটি ১২ লাখ টাকা, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৩২৮৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
বাজার মূলধন কমে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ২৮৫ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহের ৭ লাখ ১৭ হাজার ১২৬ কোটি ৭৮ লাখ টাকার তুলনায়। অর্থাৎ এক সপ্তাহে বাজার মূলধন প্রায় ১৮ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা বা ২.৫৪ শতাংশ কমেছে।
সিএসইতে সপ্তাহজুড়ে সব সূচকই কমেছে, তবে লেনদেন সামান্য বেড়েছে। প্রধান সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৩.২০ শতাংশ এবং দাঁড়িয়েছে ১৪,৪৬৯ পয়েন্টে। আর সিএসসিএক্স সূচক কমেছে ৩.১৬ শতাংশ, অবস্থান ৮৮৯৮ পয়েন্টে।
সিএসইতে ৩০৩টি সিকিউরিটিজের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪১টির, কমেছে ২৪৪টির এবং ১৮টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সপ্তাহজুড়ে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৬৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৪২ কোটি টাকা।