আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের পুঁজিবাজারে কিছুটা সাড়া দেখা যাচ্ছে। সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) উভয় প্রধান স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ার ও ইউনিটের দামে উত্থান লক্ষ্য করা গেছে। লেনদেনের পরিমাণও আগের দিনের তুলনায় বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সামান্য আস্থা ফেরার প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার দিনশেষে ৩১৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, ৩৫টির দাম কমেছে এবং ৩৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বিশেষভাবে ১০ শতাংশ বা তার বেশি লভ্যাংশ প্রদানের কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১৭৭টির শেয়ার দাম বেড়েছে। ৭১টি মাঝারি মানের কোম্পানির মধ্যে ৭১টির দাম বেড়েছে, আর ‘জেড’ গ্রুপের ৬৯টি কোম্পানির শেয়ারও উত্থান দেখিয়েছে।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩৫টির মধ্যে ২২টির মূল্য বেড়েছে, মাত্র ১টির দাম কমেছে। এর প্রভাবেই ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৬ পয়েন্ট বেড়ে ৪,৯৬২ পয়েন্টে পৌঁছেছে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে ১,০৩৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৪ পয়েন্ট বাড়ে ১,৯০৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
লেনদেনের দিকেও উজ্জীবিত অবস্থা দেখা গেছে। মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৫৮ কোটি ৩ টাকা, যা আগের কার্যদিবসের ৩৬৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকার তুলনায় ৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা বেশি। লেনদেনে সবচেয়ে বড় অংশ রেখেছে ওরিয়ন ইনফিউশন (১৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা), সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ (১৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা) এবং খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ (১২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা)।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)ও অবস্থার উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে। সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়ে ৯৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ১৬৬ প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে ১১৮টির দাম বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা, যা আগের কার্যদিবসের ১৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকার তুলনায় সামান্য কম।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনের আগে বিনিয়োগকারীদের মনোভাব ধীরে ধীরে ইতিবাচক হচ্ছে। তবে স্থায়ী আস্থা ফিরতে বাজারকে আরও কিছু সময় দরকার।

