জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে তালিকাভুক্ত ডরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেড নরসিংদীর ২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব স্থায়ী সম্পদ বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে কোম্পানিটি গত বছর টাঙ্গাইল ও ফেনীর ২২ মেগাওয়াট কেন্দ্রের স্থায়ী সম্পদ বিক্রি করেছিল।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, নরসিংদী কেন্দ্রটির বাংলাদেশ রুরাল ইলেকট্রিফিকেশন বোর্ড (বিআরইবি) সঙ্গে ১৫ বছরের বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তি শেষ হয়ে গেছে। কোম্পানিটি চুক্তি নবায়নে আগ্রহী নয়, তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি আর চালু রাখার প্রয়োজন নেই। এই কারণে স্থায়ী সম্পদ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে টাঙ্গাইল ও ফেনীর কেন্দ্রগুলোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) নবায়ন না করায় ডরিন পাওয়ার সম্পদ বিক্রি করেছিল।
আর্থিক দিক থেকে, চলতি অর্থবছর ২০২৫-২৬-এর প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ডরিন পাওয়ারের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (EPS) হয়েছে ১ টাকা ৮১ পয়সা, যা আগের বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় বেড়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শেষ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (NAVPS) দাঁড়িয়েছে ৫৪ টাকা ২৪ পয়সায়।
সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। সেই হিসাব বছরে EPS ছিল ৩ টাকা ১৯ পয়সা। এর আগের বছর একই ধরনের লভ্যাংশ ছিল ১ টাকা ৮১ পয়সা।
ডরিন পাওয়ার ২০০৮ সালের নভেম্বরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। ২০১০ সালে ৫৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন নর্দার্ন ও সাউদার্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুটির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়। ২০১৬ সালে কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।
বর্তমানে ডরিন পাওয়ারের অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা, পরিশোধিত মূলধন ১৮১ কোটি ১১ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং রিজার্ভে রয়েছে ৬৭২ কোটি ৭১ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১৮ কোটি ১১ লাখ ১৮ হাজার ৯০১। এর মধ্যে ৬৬.৬১ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে। বাকি শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যথাক্রমে ১৯.৪৩ শতাংশ ও ১৩.৯৬ শতাংশ।

