দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বেশিরভাগ শেয়ারের দাম কমে গেছে। সূচকগুলোতেও তার প্রভাব স্পষ্ট, কারণ দিনের শেষে তিনটি সূচকই নিচে নেমে আসে। তবে দরপতনের চাপের মধ্যেও লেনদেনের পরিমাণ বেড়ে ৫০০ কোটি টাকার ঘর পেরে গেছে—যা বাজারে কিছুটা সক্রিয়তার ইঙ্গিত দেয়।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, এদিন ডিএসইতে ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়। এর মধ্যে মাত্র ১১৪টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, বিপরীতে ২২৭টির দাম কমেছে। অপরিবর্তিত ছিল ৫৩টির দর। সংখ্যায় এমন বড় ব্যবধানই নির্দেশ করে যে বাজারটি সারাদিনই চাপের মধ্যে ছিল।
দরপতনের কারণে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪,৯৪২ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৮ পয়েন্ট কমে নেমেছে ১,০৩১ পয়েন্টে। আর ভালো মানের কোম্পানিগুলো নিয়ে তৈরি ডিএস-৩০ সূচক ৯ পয়েন্ট হারিয়ে থেমেছে ১,৮৯৯ পয়েন্টে।
তবে ইতিবাচক দিক হলো—লেনদেনের পরিমাণ আগের দিনের তুলনায় বেশ ভালো ছিল। বুধবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৩৩ কোটি ৯০ লাখ টাকার। আগের কার্যদিবসে এই অঙ্ক ছিল ৪৫৮ কোটি টাকার সামান্য বেশি। অর্থাৎ দিনের বাজার নিম্নমুখী হলেও বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কিছুটা বেড়েছে।
গত ২৫ নভেম্বরের পর এটিই ডিএসইতে সর্বোচ্চ লেনদেন। ওই দিন ৬৩৬ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছিল। প্রায় ১১ কার্যদিবস পর বাজার আবার এমন সক্রিয় হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, সূচক কমলেও সক্রিয় লেনদেন ইঙ্গিত দেয় যে বাজারে নতুন করে কিছু আশাবাদ তৈরি হচ্ছে। তবে দাম ওঠানামা আর অনিশ্চয়তার মধ্যে বিনিয়োগকারীদের এখনো সতর্কভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।

