সপ্তাহ ব্যবধানে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাজার মূলধন ১.৫৩ শতাংশ বা ১০ হাজার ৫০২ কোটি টাকা কমেছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৫ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে এটি ছিল ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা।
এ সপ্তাহে ডিএসইর সব সূচকই নেমেছে। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৩২.৪২ পয়েন্ট বা ২.৬৭ শতাংশ। ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৪৩.৪৩ পয়েন্ট বা ২.২৮ শতাংশ। ডিএসইএস সূচক ৩৩.৬৬ পয়েন্ট বা ৩.২৫ শতাংশ কমেছে। সূচকের পতনের সঙ্গে লেনদেনও কমেছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১,৫৪৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন ছিল ২,০৮৮ কোটি টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ৫৩৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৩০ কোটি ২২ লাখ টাকা বা ৭.২৪ শতাংশ। চলতি সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৮৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, যেখানে আগের সপ্তাহে এটি ছিল ৪১৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৮৯টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৩২টির দাম বেড়েছে, ৩৩৫টির কমেছে, এবং ২২টির অপরিবর্তিত রয়েছে।
একই সময় দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচকও পতনে আছে। সিএএসপিআই ও সিএসসিএক্স যথাক্রমে ১.৭৮ শতাংশ ও ১.৭২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৩,৬২৪.৩৬ পয়েন্ট ও ৮,৪০৩.৬৪ পয়েন্টে। সিএসই-৫০ সূচক ১.৭৭ শতাংশ কমে ১,০৪৬.৩২ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ২.০২ শতাংশ কমে ৮৫৮.১৮ পয়েন্টে। সিএসই-৩০ সূচকও ১.৭৬ শতাংশ কমে ১২,০৯০.৫৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
চলতি সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের ৬৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকার তুলনায় ৪০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা কম। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ২৫০টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৭১টির দাম বেড়েছে, ১৫৯টির কমেছে, এবং ২০টির অপরিবর্তিত রয়েছে।

