পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস লিমিটেডের দায় সম্পদের তুলনায় আট গুণের বেশি হয়েছে। এর ফলে কোম্পানির দায় পরিশোধের সক্ষমতা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে এবং ভবিষ্যৎ কার্যক্রম নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান আহমেদ জাকের অ্যান্ড কোম্পানি, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, কোম্পানির ৩০ জুন ২০২৪-২৫ সমাপ্ত অর্থ বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এ মতামত প্রকাশ করেছে। সম্প্রতি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে এটি জানা গেছে। গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছিল।
নিরীক্ষক জানায়, চলতি বছরের ৩০ জুনে কোম্পানির মোট দায় ১৩৮ কোটি ২৫ লাখ টাকার বেশি। এর মধ্যে ব্যাংক ঋণ প্রায় ৯১ কোটি ৫৫ লাখ, আন্তঃকোম্পানি দায় ১৯ কোটি ৭৪ লাখ এবং অন্যান্য সরবরাহকারী ও পাওনাদারের কাছে বকেয়া প্রায় ১৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। তবে কোম্পানির চলতি সম্পদ মাত্র ১৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকায় সীমাবদ্ধ। অর্থাৎ ১ টাকার সম্পদের বিপরীতে দায় ৮ টাকা ১৪ পয়সা।
নিরীক্ষক আরও উল্লেখ করেছে, ৩০ জুন ২০২৫ পর্যন্ত কোম্পানির বিক্রি ৩১ কোটি ৩২ লাখ টাকা, আগের বছরের ৭৪ কোটি ৪২ লাখ টাকার তুলনায় ৫৮ শতাংশ কমেছে। এ সময়ে বিক্রি ও বিতরণ খরচ বেড়ে ২ কোটি ৫ লাখ টাকা হয়েছে, আগের বছর যা ছিল ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। বিক্রি কমার পরও বিতরণ ব্যয় বৃদ্ধির যৌক্তিকতা ও অনুমোদন নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
কোম্পানিটি নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই সাময়িকভাবে কারখানা বন্ধ করেছে এবং পরে সীমিত পরিসরে উৎপাদন শুরু করেছে। চলতি বছরের ৩০ জুনে লোকসান কিছুটা কমলেও কোম্পানির পুঞ্জীভূত লোকসান এখন ৫২ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
নিরীক্ষক আরও জানিয়েছে, কোম্পানি আইন অনুযায়ী নিরীক্ষক নিয়োগের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে হবে। তবে ৩০ জুন ২০২৫ হিসাব বছরের জন্য এজিএম এখনও আহ্বান করা হয়নি। পরিবর্তে পর্ষদ সভার মাধ্যমে নিরীক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

