ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম অল্টম্যান বিশ্বব্যাপী নতুন ডিজিটাল পরিচয়ব্যবস্থা এবং আর্থিক লেনদেনের নেটওয়ার্ক তৈরি করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। ২০১৯ সালে তিনি ম্যাক্স নভেনস্টার্ন ও অ্যালেক্সে ব্লানিয়াকে সঙ্গে নিয়ে ‘ওয়ার্ল্ড’ নামের প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠানটি মানুষের চোখের মণি বা আইরিস স্ক্যান করে ডিজিটাল পরিচিতি তৈরি করতে চায়, যা ভবিষ্যতে ডিজিটাল পাসপোর্ট হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
ওয়ার্ল্ড ২০২৩ সাল থেকে ২০টি দেশে ১ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষের চোখের মণি স্ক্যান করে ডিজিটাল পরিচিতি তৈরি করেছে। এখন প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্যও এই পরিচিতি সেবা দিতে চায়। এর জন্য আটলান্টা, অস্টিন, লস অ্যাঞ্জেলেস, মিয়ামি, ন্যাশভিল এবং সান ফ্রান্সিসকো শহরে ‘অর্ব’ নামক গোলাকৃতির যন্ত্র বসানো হয়েছে। এই যন্ত্র মানুষের চোখের মণি স্ক্যান করে ‘আইরিসকোড’ নামের একটি ডিজিটাল পরিচয় তৈরি করে, যা পরে ‘ওয়ার্ল্ড আইডি’–এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়।
এই ডিজিটাল আইডি ব্যবহারকারীদের অনলাইনে বেনামে পরিচয় যাচাই করতে সাহায্য করবে। ওয়ার্ল্ড দাবি করেছে ভবিষ্যতে এই ডিজিটাল আইডি ওয়েবসাইটে লগইন, সরকারি সেবা গ্রহণ এবং ভোট দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হবে।
২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে প্রায় সাড়ে সাত হাজার ‘অর্ব’ যন্ত্র বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। প্রথম ধাপে ছয়টি শহরে যন্ত্র স্থাপন করা হলেও রেইজার গেমিং স্টোর, ক্যাফে ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আরও অর্ব যন্ত্র বসানোর কথা রয়েছে।
অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ব্যবহারকারীদের চোখের তথ্য বা আইরিসকোড কোনো কেন্দ্রীয় সার্ভারে সংরক্ষণ করা হবে না। বরং এটি ব্লকচেইনে সংরক্ষিত হবে, যা একটি নিরাপদ এবং বিকেন্দ্রীকৃত তথ্য সংরক্ষণ প্রযুক্তি।
এভাবে, স্যাম অল্টম্যান এবং তার দল প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিজিটাল পরিচয়ের এক নতুন যুগ তৈরি করতে এগিয়ে যাচ্ছে। যা সুরক্ষিত, সহজ এবং দ্রুত হবে।