ইতালির ক্যাম্পি ফ্লেগ্রেই আগ্নেয়গিরিতে সম্প্রতি ভূমিকম্পের মাত্রা বেড়েছে। পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করতে বিজ্ঞানীরা এখন এআইভিত্তিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন।
বিজ্ঞানীদের দাবি, হাইড্রোথার্মাল সিস্টেমের সঙ্গে সম্পর্কিত অগভীর হাইব্রিড ভূমিকম্প শনাক্ত করা গেলেও এআইয়ের মাধ্যমে ম্যাগমা ওপরে উঠে আসার সরাসরি কোনো প্রমাণ মেলেনি। তবে এআই প্রযুক্তি ভূমিকম্প শনাক্তকরণ, অবস্থান নির্ধারণ এবং ঝুঁকির মাত্রা বিশ্লেষণে আগের তুলনায় অনেক বেশি নির্ভুলতা দিচ্ছে।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূপদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক গ্রেগ বেরোজা বলেন, ভূমিকম্পের মাত্রা যেকোনো সময় পরিবর্তিত হতে পারে। তিনি সতর্ক করে জানান, ক্যাম্পি ফ্লেগ্রেইর ক্যালডেরা ইতালির নেপলস অঞ্চলে অবস্থিত, যেখানে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ বসবাস করে। ফলে সামান্য কম্পনও স্থানীয়দের দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে।
বিজ্ঞানীরা জানান, একটি মেশিন লার্নিং টুলকে বহু বছরের তথ্য দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এআই টুল ধারাবাহিকভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করে ভূমিকম্পের সংখ্যা, অবস্থান ও মাত্রা আগের চেয়ে অনেক নিখুঁতভাবে নির্ণয় করতে সক্ষম হচ্ছে।
ক্যাম্পি ফ্লেগ্রেইকে বলা হয় বৃহৎ ক্যালডেরা। প্রাচীন অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সৃষ্ট বিস্তৃত অবতলভূমি এটিকে ঘিরে আছে। এখানে ফাটল ও পুরোনো নির্গমনপথ রয়েছে, যেগুলো মাঝে মাঝে সক্রিয় হয়ে ওঠে। গবেষকদের মতে, এই অঞ্চল আসলে একক কোনো আগ্নেয়গিরি নয়। বরং এটি এমন একটি এলাকা যেখানে বছরের পর বছর ধরে ভূমি ধীরে ধীরে উঁচু-নিচু হয়। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় ব্রেডিসিজম।
সর্বশেষ তথ্য বলছে, ক্যাম্পি ফ্লেগ্রেই এলাকার বেশির ভাগ কার্যকলাপ খুব অগভীর জায়গায় ঘটছে। ভূমিকম্পের মূল কারণ হচ্ছে শিলার ভেতরে সৃষ্ট ফাটল।