বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতকে প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে গণ্য করা হয়। এই খাত কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নতুন উদ্যোক্তা তৈরি এবং শিল্পে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়া অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র্য বিমোচনে এসএমই-এর অবদান অপরিসীম। তবে বাস্তবতা হলো, বেশ কিছুদিন ধরেই এই খাতটি সংকটের মুখোমুখি। ডলারের উচ্চমূল্য, ক্রমবর্ধমান সুদহার, মূল্যস্ফীতি, আইনশৃঙ্খলার অনিশ্চয়তা এবং বিদেশি পণ্যের চাপ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের টিকে থাকার লড়াইকে কঠিন করেছে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে উদ্যোক্তাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো মূলধনের অভাব। বাংলাদেশে ব্যাংকিং সেক্টরের মোট সম্পদ প্রায় ১৫০ বিলিয়ন ডলার হলেও, এসএমই খাতের জন্য প্রয়োজন মাত্র ২–৩ বিলিয়ন ডলার। যথাযথ কাগজপত্র না থাকায় ঋণ প্রাপ্তি বাধাগ্রস্ত হয়। এছাড়া অনানুষ্ঠানিক খাতের ধারাবাহিক তথ্য না থাকায় অর্থনৈতিক বিন্যাস ও খাতের অবস্থা মূল্যায়ন কঠিন।
ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, “উৎপাদন সূচকের ক্রমাগত পতন সরাসরি ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের উদ্যোক্তাদের আঘাত করছে। যদিও মূল্যস্ফীতি এবং অন্যান্য সামষ্টিক সূচকে পরিবর্তন আনতে সময় লাগে, ঋণপ্রবাহ দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।” বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহের অপ্রতুলতা, অবকাঠামোগত ঘাটতি, অভিজ্ঞ জনশক্তি ও প্রশিক্ষণের অভাব, বাজারে বিদেশি পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা—এসব কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে।
জুটেক্সের মালিক আকতারুজ্জামান তুষার বলেন, “পাটখাতে ব্যবসা শুরু করতে চাইলেও দক্ষ জনশক্তি পাওয়া এবং ঋণ সুবিধা পাওয়াই বড় চ্যালেঞ্জ। যথাযথ সহযোগিতা পেলে আরও উদ্যোক্তা খাতে প্রবেশ করতে পারবে।” বাংলাদেশে এসএমই খাতের জন্য সরকারি উদ্যোগ বেশ কিছু রয়েছে। সরকার ২০১৯ সালে এসএমই পলিসি গ্রহণ করে। এটি খাতের সুরক্ষা ও উদ্যোক্তাদের সহায়তার লক্ষ্য নিয়ে তৈরি হলেও, অনেক লক্ষ্য পূরণ হয়নি।
সরকারি ১৭টি বিভাগ সরাসরি এসএমই খাতের সঙ্গে যুক্ত। তবে সমন্বয়ের অভাব এবং পুরনো পরিকল্পনার প্রজেক্ট বাস্তবায়নের কারণে সরকারি অর্থের যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে না। এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালক রাশেদুল করিম মুন্না বলেন, “নীতিমালা পুনর্বিবেচনা ও সুপারিশ দরকার। সমন্বয়হীনভাবে প্রজেক্ট নেওয়ার ফলে কার্যকারিতা কমে যায়।” ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাত বাংলাদেশের অর্থনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। এটি শুধু ব্যবসা বা উৎপাদন নয়, দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সরকারি ও আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের মোট শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৯৩ শতাংশই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের।
২০১৯ সালের শিল্পখাতের জরিপে দেখা গেছে, দেশে মোট ৪৬,২৯১টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান আছে। এর মধ্যে অণু, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৪৩,২২৪টি। অর্থাৎ, দেশীয় শিল্পখাতের প্রায় ৯৩ শতাংশ এসএমই। এই খাতের মধ্যে কর্মসংস্থানের অবদান ৩১.৫ শতাংশ, যা জিডিপিতে ৪.৮৫ শতাংশ অংশ রাখে। এর অর্থ, এই খাত শুধু ব্যবসা চালু রাখছে না, বরং দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোতে সরাসরি অবদান রাখছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ৯০ শতাংশ ব্যবসার অংশীদার এবং ৫০ শতাংশের বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে। বাংলাদেশের মতো উদীয়মান অর্থনীতিতে এই খাত সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে। বিশেষ করে, দেশের গ্রামীণ ও অশহুরে অঞ্চলে কর্মসংস্থানের বড় উৎস হিসেবে এসএমই গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশে প্রায় ৮ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের প্রায় ৮৭ শতাংশ মানুষকে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান দিচ্ছে। এরা উৎপাদন ও পরিষেবার মাধ্যমে দেশীয় অর্থনীতির অবকাঠামোকে শক্তিশালী করছে এবং স্থানীয় বাজারে চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এসএমই খাতের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য ও সেবা শুধু অভ্যন্তরীণ বাজারেই সীমাবদ্ধ নয়। রপ্তানি খাতে এরা দেশকে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনে সহায়তা করছে। উদাহরণস্বরূপ, পাটভিত্তিক শিল্প ও হ্যান্ডিক্রাফট সামগ্রী বিদেশে রপ্তানি হয়ে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা আনে, যা দেশের বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সাহায্য করছে।
তাছাড়া, এসএমই খাত নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, নারীর কর্মসংস্থান এবং যুব সমাজকে শিল্পে আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে কর্মসংস্থান মূলত স্থানীয় জনশক্তি দ্বারা তৈরি হওয়ায় এটি সামাজিক স্থিতিশীলতাতেও অবদান রাখে। যদি অর্থনৈতিক সংখ্যায় দেখা যায়, প্রতিটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে ১০–৩০ জন মানুষকে সরাসরি চাকরি দেয়। স্থানীয় ব্যবসা, কাঁচামাল সরবরাহকারী ও পরিবহন খাতসহ পরোক্ষভাবে আরও কয়েকগুণ মানুষ এই খাতের সঙ্গে যুক্ত থাকে। ফলে, এক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে গ্রামের বা শহরের বৃহৎ জনগোষ্ঠী জড়িত থাকে।
বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, এসএমই খাত দেশের অর্থনীতির “ব্যাকবোন“। এটি শুধু জিডিপি বা কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে সীমাবদ্ধ নয়; এটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম, সামাজিক সমন্বয় এবং দারিদ্র্য বিমোচনে কার্যকর হাতিয়ার। কিন্তু, ঋণ, দক্ষ জনশক্তি, অবকাঠামো, বাজার প্রবেশ এবং নীতিগত সীমাবদ্ধতার কারণে খাতের পূর্ণ সম্ভাবনা এখনও অর্জিত হয়নি।
ঋণ ও মূলধনের অভাব: ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অন্যতম প্রধান বাধা হলো মূলধনের অভাব। দেশের ব্যাংকিং সিস্টেমের মোট সম্পদ প্রায় ১৫০ বিলিয়ন ডলার হলেও, এসএমই খাতের জন্য প্রয়োজন মাত্র ২–৩ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু, ঋণ গ্রহণে উদ্যোক্তারা নানা জটিলতার মুখোমুখি হন। মূল সমস্যাগুলো হলো:
- কাগজপত্র ও হিসাব-নিকাশের অভাব: অনেক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার কাছে পূর্ণাঙ্গ আর্থিক তথ্য নেই। ব্যাংকগুলোর জন্য এটি ঋণ অনুমোদনের জন্য ঝুঁকি হিসেবে ধরা হয়।
- গ্যারান্টি বা নিরাপত্তার অভাব: ঋণ প্রাপ্তির জন্য প্রতিষ্ঠানের স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি সাধারণত জরুরি। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের এই সুযোগ সীমিত।
- অর্থনৈতিক তথ্যের অভাব: অনানুষ্ঠানিক খাতের ধারাবাহিক তথ্য না থাকায় ব্যাংক বা বিনিয়োগকারীরা উদ্যোক্তার আর্থিক সক্ষমতা সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারেন না।
দক্ষ জনশক্তি ও প্রশিক্ষণের অভাব: ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে উৎপাদন ও মান বৃদ্ধির জন্য দক্ষ জনশক্তি অপরিহার্য। তবে উদ্যোক্তারা অনেক সময় দক্ষ শ্রমিক ও প্রযুক্তিবিদ খুঁজে পান না। চ্যালেঞ্জগুলো:
- প্রশিক্ষণের অভাব: দেশের অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছে না। দক্ষ জনশক্তির অভাবে উৎপাদন মান ও ক্ষমতা সীমিত থাকে।
- প্রযুক্তি সমন্বয়ের ঘাটতি: উৎপাদন ও নকশার মধ্যে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার কম।
- উন্নত দক্ষতার অভাব: বিদেশি পণ্য ও মানসম্মত পণ্য উৎপাদনের জন্য স্থানীয় কর্মীদের দক্ষতা যথেষ্ট নয়।
বাজার ও প্রতিযোগিতা: ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তারা বাজারে প্রবেশ এবং প্রতিযোগিতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে সমস্যার মুখোমুখি। চ্যালেঞ্জগুলো:
-
বিদেশি পণ্যের চাপ: সস্তা ও ভরসাযোগ্য বিদেশি পণ্য স্থানীয় উদ্যোক্তাদের প্রতিযোগিতায় হ্রাস ঘটাচ্ছে।
-
রপ্তানি বাজারে সীমাবদ্ধতা: আন্তর্জাতিক মান এবং স্বীকৃত সার্টিফিকেটের অভাবে ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান রপ্তানি বাড়াতে পারে না।
-
বিপণন ও বিতরণের সমস্যা: উদ্যোক্তারা কাঁচামাল থেকে উৎপাদন, বিপণন ও বিতরণ পর্যন্ত পূর্ণ চেইনে দক্ষ নন।
মূল্যস্ফীতি ও সুদের হার: ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের জন্য আর্থিক স্থিতিশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে নতুন মুদ্রানীতি, বাজেট সীমাবদ্ধতা এবং আন্তর্জাতিক অর্থনীতির চাপের কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে। এটি উদ্যোক্তাদের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি এবং লাভের মার্জিন হ্রাসে প্রভাব ফেলে। মূল সমস্যা:
-
কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি: আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের উত্থান ও কাঁচামালের দাম বেড়ে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে।
-
ঋণের সুদের হার বৃদ্ধি: উচ্চ সুদের হার ছোট উদ্যোক্তাদের ঋণ নেওয়া কঠিন করছে। অনেক উদ্যোক্তা উৎপাদন সম্প্রসারণ বা নতুন প্রকল্প শুরু করতে পারছে না।
-
মূলধনের ঘাটতি: উৎপাদন কমে যাওয়ায় কাজের মূলধনের অভাব দেখা দিয়েছে। ফলে, উৎপাদনশীলতা ও বিক্রয় হ্রাস পাচ্ছে।
ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, “সেপ্টেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। যদি এ ধারা অব্যাহত থাকে, আশা করি সুদের হার দ্রুত কমানো সম্ভব হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রি-ফান্ডিং, পোস্ট ফান্ডিং এবং ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের।”
অবকাঠামো ও সরবরাহ: অবকাঠামো এবং মৌলিক পরিষেবা সরবরাহের সীমাবদ্ধতা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, পরিবহন ও যোগাযোগে অনিয়মিত সেবা উদ্যোক্তাদের কার্যক্রমে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো:
-
বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহে ঘাটতি: উৎপাদন কার্যক্রম স্থগিত হওয়া বা সময়মতো শেষ না হওয়া।
-
পরিবহন ও লজিস্টিক সমস্যা: কাঁচামাল সরবরাহ এবং উৎপাদিত পণ্যের বাজারে পৌঁছানো ব্যাহত।
-
অবকাঠামোগত উন্নয়নের ধীরগতি: শিল্প এলাকাগুলোর রাস্তা, স্টোরেজ ও যন্ত্রপাতি ব্যবস্থাপনা অপ্রতুল।
-
প্রযুক্তিগত সমন্বয়হীনতা: উৎপাদন প্রক্রিয়া আধুনিকায়ন করতে নতুন প্রযুক্তি বা যন্ত্রপাতি সহজলভ্য নয়।
রাশেদুল করিম মুন্না বলেন, “সরকারি ১৭টি বিভাগ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে কাজ করছে কিন্তু সমন্বয়হীনতার কারণে অনেক সময় সরকারি অর্থ অপচয় হয়। অবকাঠামো ও সরবরাহের উন্নয়ন না হলে উদ্যোক্তারা বাজারের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবে না।” ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। এটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে, নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করে এবং দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে ঋণ ও মূলধনের অভাব, দক্ষ জনশক্তি ও প্রশিক্ষণের সীমিততা, বাজারে প্রতিযোগিতা, মূল্যস্ফীতি ও সুদের হার এবং অবকাঠামোর ঘাটতি উদ্যোক্তাদের টিকে থাকা ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করছে।
সমস্যা থাকা সত্ত্বেও সমাধানের পথ আছে। সহজলভ্য ঋণ, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি ব্যবহার, স্থানীয় কাঁচামাল, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং সরকারী সমন্বয় খাতের সম্ভাবনা প্রসারিত করতে পারে। বিশ্বব্যাংক ও স্থানীয় তথ্য অনুযায়ী, এসএমই খাত দেশের কর্মসংস্থানের প্রায় ৮৭ শতাংশ তৈরি করছে এবং জিডিপিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে, অর্থাৎ খাতটি দেশের অর্থনৈতিক “পেছনের শক্তি” হিসেবে কাজ করছে। যথাযথ নীতি ও সহায়তা পেলে এটি টিকে থাকবে, প্রসারিত হবে এবং দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবে।