চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নতুন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন আজ শপথ নিলেন। ঢাকার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই শপথ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ। তাঁর সঞ্চালনায় মেয়র শপথ বাক্য পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলামসহ বিভিন্ন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর উপদেষ্টা হাসান আরিফ নবনির্বাচিত মেয়রকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “চট্টগ্রাম হলো বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ শহর এবং দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র। ডা. শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে আমরা এই শহরকে গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি এবং জলাবদ্ধতামুক্ত নগরী হিসেবে দেখতে চাই। তাঁর প্রতি আমাদের প্রত্যাশা, তিনি ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের আদর্শকে ধারণ করে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার পথপ্রদর্শক হবেন।”
ডা. শাহাদাত হোসেন তাঁর শপথ গ্রহণের পর গণমাধ্যমের সাথে কথা বলার সময় চট্টগ্রাম নগরবাসীর জন্য তার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন,
“চট্টগ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। এই শহরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন সারা দেশের উন্নয়নে প্রভাব ফেলবে।
তিনি আরো বলেন- আমার ইশতেহার অনুযায়ী, গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি এবং স্বাস্থ্যসম্মত নগরী গড়ে তোলার জন্য আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এ কাজের জন্য নগরবাসীর সার্বিক সহযোগিতা চাই।”
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হওয়ার পর বিজ্ঞ নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ও যুগ্ম জেলা জজ আদালতের আদেশে ডা. শাহাদাতকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীমসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।