দেশের ১৫ লাখ সরকারি কর্মচারীকে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব দিতে হবে, পরীক্ষা করা হবে আয়কর ফাইল। অপেক্ষা আর মাত্র বাকি ১৩ দিনের। ঝামলা এড়িয়ে নিজেদের রক্ষা করতে অনেকেই আইনজীবীদের পরামর্শ নিতে ব্যস্ত।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গত ১ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি করে সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশনা দেয়। সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে যাদের আয় করসীমার নিচে তাদের আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হয় না। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, আয় করসীমার ওপরে হোক বা নিচে– সবাইকে সরকারের কাছে সম্পদ বিবরণী জমা দিতে হবে। আয়কর রিটার্নের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
প্রত্যেককে নির্ধারিত ফরমে তাঁর নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের কাছে সিলগালা খামে সম্পদের হিসাব জমা দিতে হবে। যারা দেশের বাইরে কর্মরত, সরকারি কর্মচারীরা নিজ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এ হিসাব জমা দেবেন, গতকাল রোববার এমনটাই হুশিয়ারি দিয়েছেন- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত ছকে সম্পদের তথ্য উল্লেখ করতে হবে। মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে ছকটি সংগ্রহ হবে। ক্যাডার ও নন-ক্যাডার (নবম বা তদূর্ধ্ব গ্রেড) কর্মকর্তারা নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাদের সম্পদ বিবরণী দাখিল করবেন প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিবের কাছে। আর গেজেটেড, নন-গেজেটেড কর্মকর্তা-কর্মচারীরা (দশম থেকে ২০তম গ্রেড) নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কাছে সম্পদ বিবরণী দাখিল করবেন।
আগামী ৩০ নভেম্বর শনিবার সরকারি ছুটির দিন। তাই তারা আশা করছেন, দু’দিন আগে অর্থাৎ ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবারের মধ্যে সবাই সম্পদ বিবরণী জমা দেবেন।
এ বছর ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব জমা দিতে হলেও আগামী বছর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দিতে হবে।
সমকালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘প্রতি বছর সম্পদ বিবরণী নেওয়া হলো কর্মচারীদের জন্য একটা লাগাম। দুর্নীতির লাগাম টানতে হবে।’ ‘সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য বা কিছু গোপন করা হলে সেটি ১৯৭৯ সালের বিধিমালা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে। এই অনুশাসন সব কর্মচারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলে জানান- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ড.মো. মোখলেস উর রহমান।