সম্প্রীতি বজায় রাখতে দুর্গা পূজার সময় প্রতিবেশী দেশ ভারতের কাছে ইলিশ পাঠানো হয়। মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার আজ সোমবার কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় প্রশাসন, এনজিও কর্মী ও সুশীল সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ফরিদা আখতার বলেন, “গণমাধ্যমে কিছু তথ্য এসেছে, তবে আমি সেভাবে বলিনি। গত ৬ বছর ধরে দুর্গা পূজার সময় ভারতে ইলিশ পাঠানো হয়। প্রতিবেশী দেশ থেকে অনুরোধ আসলে আমরা সম্প্রীতি বজায় রাখতে সাড়া দেই। তিনি আরও জানান, ভারত ৩ হাজার মেট্রিক টন ইলিশের অনুরোধ করলেও, এ বছর ১২০০ মেট্রিক টন রপ্তানি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে কতটুকু ইলিশ নিতে পারবে, তা পর্যালোচনা করা হবে। এ পরিমাণ গত বছরের তুলনায় অর্ধেকেরও কম।
উপদেষ্টা বলেন, “প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনুরোধে এ বছর সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ১১ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া অক্টোবর মাসে মা ইলিশের প্রজনন রক্ষা কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। প্রজননের হার ৫২ শতাংশ হয়েছে। ফলে প্রচুর ইলিশ জন্মেছে।” তিনি আরও জানান, “নিষেধাজ্ঞার সময় ভারত ও মায়ানমারের জেলেরা জাটকা ধরে। গত বছর আমাদের কোস্টগার্ড এটি সফলভাবে বন্ধ করেছে। তবে এ বছর জাটকা নিধনের ফলে ইলিশের উৎপাদন কমে গেছে। দেশের কিছু এলাকায় এই মাসে সাশ্রয়ী মূল্যে ইলিশ বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ফরিদা আখতার জানান, গবাদি পশুকে এলএসডি মুক্ত রাখতে ভোলা, সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও মানিকগঞ্জ জেলা সম্পূর্ণরূপে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে। মতবিনিময় সভায় কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ, সিভিল সার্জন ডা. স্বপন কুমার বিশ্বাস, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোক্তাদির খান, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ রানাসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।