আগামী সংসদ নিয়মিত কাজের পাশাপাশি প্রথম ২৭০ দিন (৯ মাস) সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে। এই সময়ে গণভোটে পাস হওয়া প্রস্তাবগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার দায়িত্ব পালন করবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য এমন সুপারিশ করেছে।
তবে যদি সংসদ তা করতে ব্যর্থ হয়, তবে কমিশন একটি বিকল্প পথ রেখেছে। তা হলো—সংবিধান-সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো খসড়া বিল (সংবিধান সংশোধনী আইনের খসড়া) আকারে তৈরি করে সরাসরি গণভোটে দেওয়া হবে। গণভোটে পাস হলে সংবিধান সংস্কার পরিষদ মূল ভাব বজায় রেখে প্রস্তাব অনুমোদন করবে।
আগামী সংসদ যদি ২৭০ দিনের মধ্যে এগুলো অনুমোদন না করে, তাহলে প্রস্তাবগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে। এ তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ জমা দেন কমিশনের প্রতিনিধিরা। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে আলী রীয়াজ এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান। অনুষ্ঠানে কমিশনের অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আলী রীয়াজ জানান, গণভোটের জন্য সরকারকে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করতে বলা হয়নি। সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ জারির পর থেকে জাতীয় নির্বাচনের দিন পর্যন্ত যেকোনো দিন গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে।
গণভোট একটি প্যাকেজ আকারে প্রশ্ন হিসেবে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে সনদ ও খসড়া বিল সমর্থন করা হচ্ছে কি না তা জানতে চাওয়া হবে।
রাজনৈতিক দলগুলোর ‘নোট অব ডিসেন্ট’ বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, এগুলো জনগণের কাছে নেবে সরকার, রায় পাওয়ার পর দলগুলো সিদ্ধান্ত নেবে। কমিশন মোট ৪৮টি বিষয়ে জনগণের সম্মতি ও অসম্মতিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।

