ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নবম জাতীয় পে স্কেলে মূল বেতন ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধির দাবি তুলেছেন। সম্প্রতি তারা তাদের বেতন-ভাতা সংক্রান্ত প্রস্তাবনা জাতীয় বেতন কমিশনের সভাপতির কাছে হস্তান্তর করেছেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান পে প্রপোজাল কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি জানান, প্রস্তাবনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০টি গ্রেডের বেতন কাঠামো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনায় মূল বেতন ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধি করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, দেশে ৭ম জাতীয় পে স্কেল ১ জুলাই ২০০৯ থেকে কার্যকর হয়েছিল। এরপর ২০১৫ সালে মূল বেতন প্রায় ২০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৮ম পে স্কেল ১ জুলাই ২০১৫ থেকে চালু হয়। সাধারণত প্রতি ৫ বছরে নতুন পে স্কেল ঘোষণা করা হলেও ২০১৫ সালের পর থেকে ১০ বছর অতিক্রান্ত হলেও নতুন কোনো পে স্কেল দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, এই ১০ বছরে মূল্যস্ফীতি, মুদ্রাস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় ব্যাপকভাবে বেড়েছে। যদি ২০১৫ সালের পর ২০২০ ও ২০২৫ সালে দুটি নতুন পে স্কেল দেওয়া হতো, বেতন প্রায় ৪০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেত। সে হিসেবে ২০২০ সালে ১ম গ্রেডের বেতন হতো ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা এবং ২০তম গ্রেডের বেতন হতো ১৬ হাজার ৫০০ টাকা। ২০২৫ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে ১ম গ্রেডে ৩ লাখ ১২ হাজার টাকা এবং ২০তম গ্রেডে ৩৩ হাজার টাকায় পৌঁছাত।

