ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সংলাপে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে স্বচ্ছ হবে। নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় কেউ ব্যত্যয় ঘটানোর চেষ্টা করলে তাকে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।
পর্যবেক্ষকদের উদ্দেশে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা পর্যবেক্ষণের নামে পক্ষপাতিত্ব করতে পারবে না। তফসিল ঘোষণার ১০ দিনের মধ্যে পর্যবেক্ষকদের তালিকা কমিশনে জমা দিতে হবে। মানহীন পর্যবেক্ষক সংস্থা নির্বাচনে দরকার নেই। কমিশন শুধু মানসম্পন্ন ও নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষণ চায়। কেউ পক্ষপাতিত্ব করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভুয়া পর্যবেক্ষক ঠেকাতে পরিচয়পত্রে কিউআর কোড ব্যবহার করা হবে।
বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে তিনি বলেন, কোনো বিদেশি নাগরিক দেশি সংস্থার হয়ে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। বিদেশিদের অবশ্যই নিজেদের আইন অনুযায়ী বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে আবেদন করে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
সংলাপে অংশ নেওয়া বিভিন্ন পর্যবেক্ষক সংস্থা স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিতে কয়েকটি প্রস্তাব দেয়। এর মধ্যে রয়েছে—পর্যবেক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ভোটকেন্দ্রে অবাধে প্রবেশের সুযোগ রাখা, পোস্টাল ব্যালট পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া এবং ভোটের তিন দিন আগে পরিচয়পত্র সরবরাহ করা।
ইসি ইতোমধ্যে ২০২৩ সালের পর্যবেক্ষক নীতিমালা বাতিল করে নতুন নীতিমালা জারি করেছে। এর আগে গত জুলাইয়ে আওয়ামী লীগ আমলে দায়িত্ব পাওয়া ৯৬ সংস্থার নিবন্ধন বাতিল করা হয়। পরে দুই মাসের মধ্যে নতুন করে ৮১টি সংস্থাকে নিবন্ধন প্রদান করে কমিশন।
সকাল-বিকাল দুই পর্বে এসব সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ করে ইসি। আমন্ত্রিত ৮১টি সংস্থার মধ্যে পাঁচটি ছাড়া সবাই অংশ নেয়।
সংস্থাগুলো ভোটকেন্দ্রে বাধাহীন পরিবেশ, আইনি ও সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিতসহ বিভিন্ন দাবি তোলে। তারা ভোটের আগে ও পরে ১০ দিন করে সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাবও দেয়।

