ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষা আজ (শনিবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আলোচিত ও সমালোচিত এই পরীক্ষায় ব্যাংকের প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কর্মকর্তা অংশ নেওয়ার কথা। তবে একদল কর্মকর্তা-কর্মচারী ইতোমধ্যেই পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ইসলামী ব্যাংকের এই পরীক্ষা নেওয়ায় কোনো বাধা নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, পরীক্ষাটি আয়োজন করা ব্যাংকের নিজস্ব এখতিয়ার। এর আগে ১৪ আগস্ট ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ পরীক্ষার তারিখ ২৯ আগস্ট নির্ধারণ করে কিন্তু জুনিয়র অফিসার মো. হানিফ গত ২৭ আগস্ট হাইকোর্টে রিট করেন। আদালত তখন বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত ২৫ সেপ্টেম্বর জানায়, ইসলামী ব্যাংক একটি বেসরকারি মালিকানাধীন লাভজনক প্রতিষ্ঠান। তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি দেশের প্রচলিত আইন ও নিয়োগের শর্তে নিয়ন্ত্রিত। তাই কর্মদক্ষতা মূল্যায়ন কিংবা কাউকে রাখা না রাখার সিদ্ধান্ত ব্যাংকের এখতিয়ারভুক্ত। তবে পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে গেলে প্রচলিত আইন ও বিধি মেনে চলতে হবে।
এদিকে পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে অংশ নেন প্রায় আট শতাধিক কর্মকর্তা। বক্তাদের অভিযোগ, সাড়ে পাঁচ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বাদ দেওয়ার পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই এই পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। তাদের দাবি, নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকলে চাকরি টিকবে না এবং পদোন্নতির সুযোগ হারাতে হবে। এতে ভয়-ভীতি সৃষ্টি করা হচ্ছে।
মানববন্ধনে ব্যাংক কর্মকর্তা এসএম এমদাদ হোসাইন বলেন, “চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অথচ একই ব্যাচের অন্য অঞ্চলের কর্মকর্তাদের পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে না। পাঁচ থেকে সাত বছর চাকরির পর হঠাৎ এমন পরীক্ষা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক।” এ সময় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম মানববন্ধন শেষে কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, বিষয়টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন।