ছেঁড়া, ক্ষতিগ্রস্ত ও ময়লা নোট বদলানোর সেবা নির্বিঘ্ন রাখতে দেশের সব তফসিলি ব্যাংক শাখাকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নির্দেশনা মানতে কোনো ধরনের গড়িমসি হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, কোনো নোটের ৯০ শতাংশের বেশি অংশ অক্ষত থাকলে এবং নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সঠিক থাকলে সেই নোট ইস্যু-অযোগ্য বা বিকৃত হলেও ব্যাংক শাখাকে গ্রাহককে এর পূর্ণ বিনিময়মূল্য দিতে হবে। দুই টুকরা হয়ে যাওয়া নোট শনাক্ত সহজ করতে তা পাতলা সাদা কাগজে সংযুক্ত করে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, দাবি-যোগ্য নোট শাখা পর্যায়ে নিষ্পত্তি করা যাবে না। এসব নোট নিকটবর্তী বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যালয়ে পাঠাতে হবে। যাচাই শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সর্বোচ্চ আট সপ্তাহের মধ্যে অর্থ পরিশোধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। দাবি-যোগ্য নোট পাঠানোর ক্ষেত্রে ডাক বা কুরিয়ার খরচ গ্রাহককেই বহন করতে হবে। আগুনে পুড়ে যাওয়া নোট সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্লেইম ডেস্কে জমা দেওয়ার কথাও সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়া জাল নোট বা একাধিক টুকরা জোড়া দিয়ে তৈরি করা ‘বিল্ট-আপ’ নোট শনাক্ত হলে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, ছেঁড়া, ক্ষতিগ্রস্ত ও দাবি-যোগ্য নোট বদলানোর সেবা ব্যাংক শাখায় পাওয়া যায়—এ তথ্য জানিয়ে গ্রাহকদের জন্য দৃশ্যমান স্থানে নোটিস টাঙাতে হবে। নগদ লেনদেনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে প্রতি মাসে এ ধরনের নোট গ্রহণ ও নিষ্পত্তির বিস্তারিত তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানোর নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

