চীন টানা ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছাড়িয়েছে ২ হাজার ৪০০ কোটি ডলার।
ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০টির বেশি চীনা উদ্যোগ বাংলাদেশি অংশীদারদের সঙ্গে বিনিয়োগ চুক্তি করেছে। এসব চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রায় ৫৮০ কোটি ডলারের বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।
এই ঘোষণা দেন তিনি তিন দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ-চায়না গ্রিন টেক্সটাইল এক্সপো (বিসিজিটিএক্স) ২০২৫’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) যৌথভাবে প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে সেভর ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ও চায়নিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ (সিইএবি)। সহযোগী অংশীদার হিসেবে আছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) ও শাংহাই ক্লাইমেট উইক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইয়াও ওয়েন বলেন, “চীন বাংলাদেশকে বস্ত্র শিল্পে সবুজ রূপান্তরকে উৎসাহিত করতে প্রস্তুত। দুই দেশ যৌথভাবে টেকসই সবুজ শিল্পশৃঙ্খল গড়ে তুলতে বস্ত্র যন্ত্রপাতি, ডিজিটাল মুদ্রণ এবং বুদ্ধিদীপ্ত উৎপাদনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ খুঁজছে।”
তিনি আরও জানান, “চীন বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্বকে অত্যন্ত মূল্যবান মনে করে। বাংলাদেশে শতভাগ শুল্কযোগ্য পণ্যের ওপর শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে। এই নীতিটি ২০২৮ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন:
- বিজিএমইএ সহসভাপতি (অর্থ) মিজানুর রহমান
- বিটিএমসি চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এসএম জাহিদ হাসান
- বিসিসিসিআই সভাপতি মো. খোরশেদ আলম
- সিইএবি সভাপতি হান কুন
- সাংহাই ক্লাইমেট উইক নির্বাহী মহাসচিব গুয়ান জিয়ে
- চীনের জিয়াংনান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফু জিয়াজিয়া
- সিইএবি টেক্সটাইল অ্যান্ড গার্মেন্ট শাখার প্রেসিডেন্ট গা ঝেনইউ (মাইক গা)
- সেভর ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফয়জুল আলম
আয়োজকরা জানান, প্রদর্শনীতে মোট ৮০টি স্টল থাকবে। সঙ্গে থাকবে পরিবেশবান্ধব ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য টেক্সটাইল প্রযুক্তির প্রদর্শনী, সেমিনার, বিনিয়োগ সংক্রান্ত এবং উচ্চ পর্যায়ের নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট।
প্রদর্শনীটি ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

