দেশের প্রতিষ্ঠান এসিআই মটরস লিমিটেড একদিনে একসঙ্গে ৩৫০টি কৃষিযন্ত্র (সোনালীকা ট্রাক্টর) হস্তান্তর করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস স্থাপন করেছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের কৃষি যান্ত্রিকীকরণের অগ্রগতি প্রদর্শন করতেই এই আয়োজন করা হয়েছিল।
গতকাল সোমবার দিনাজপুর সদরের গোর-এ-শহীদ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে ‘সোনালীকার বিশ্বজয়’ প্রতিপাদ্য নিয়ে একযোগে ৩৫০টি ট্রাক্টর কৃষকদের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এর প্রমাণাদি ও তথ্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়। গত রবিবার সন্ধ্যায় সংস্থাটি আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব রেকর্ডের স্বীকৃতি দিয়েছে।
আয়োজকদের বক্তব্যে বলা হয়েছে, একক অনুষ্ঠানে সর্বাধিক সংখ্যক ট্রাক্টর হস্তান্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশের নাম গিনেস রেকর্ডসে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এ আয়োজনের মাধ্যমে দেশের কৃষির উন্নয়ন এবং কৃষকদের উদ্দীপনা সৃষ্টি করা লক্ষ্য ছিল। বিশ্বের মঞ্চে বাংলাদেশের কৃষির সক্ষমতা তুলে ধরা অন্যতম উদ্দেশ্য।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এসিআই মটরসের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুব্রত রঞ্জন দাস। উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল ট্রাক্টরস লিমিটেডের ডিরেক্টর ও সিইও গৌরব সাক্সেনা, এসিআই মটরসের চিফ বিজনেস অফিসার মো. আসিফ উদ্দীন, বিজনেস ডাইরেক্টর আজম আলী, ডেপুটি বিজনেস ডাইরেক্টর খাইরুল আহসান এবং দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম।
এসিআই মটরসের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুব্রত রঞ্জন দাস বলেন, “কৃষি যান্ত্রিকীকরণে দেশের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে এসিআই দেশের কৃষকদের সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধিতে কাজ করছে। দেশে কৃষকদের মাঝে উদ্দীপনা সৃষ্টির জন্য এই গিনেস বিশ্ব রেকর্ড আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশের কৃষকরা বিশ্বের সামনে দেখাতে পেরেছে যে তারা গিনেস রেকর্ডের অংশ হতে পারে।” জানা গেছে, চলতি বছর সোনালীকার সঙ্গে এসিআই ১৮ বছরের যৌথ যাত্রা উদযাপন করছে। বিশ্ব রেকর্ডের এ আয়োজনে সোনালীকা ট্রাক্টরের সবচেয়ে বড় লোগোও প্রদর্শন করা হয়।
ডেপুটি বিজনেস ডাইরেক্টর আসিফ ফয়সাল রুমি জানান, “বাংলাদেশে সোনালীকা ট্রাক্টর ইতিমধ্যেই ৩৫ হাজারেরও বেশি বিক্রি হয়ে দেশের কৃষকদের আস্থা অর্জন করেছে। এসিআই বর্তমানে দেশের ট্র্যাক্টর বাজারের ৫০ শতাংশেরও বেশি শেয়ার দখল করছে। আমাদের এই উদ্যোগ কৃষকদের মধ্যে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির সুবিধা পৌঁছে দিতে এবং দেশের কৃষিতে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

