উচ্চমানের পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় জাপানের ব্যবসায়ীরা ফ্যাশনেবল ও উচ্চমূল্যের পোশাক আমদানে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। জাপান টেক্সটাইল ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (জেটিআইএ) প্রতিনিধিদল গতকাল সোমবার রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বাংলাদেশের পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বৈঠকে জেটিআইএ প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশ থেকে পোশাক সোর্সিং বাড়ানোর জন্য আহ্বান জানান। জেটিআইএ প্রতিনিধি দল জবাবে বলেন, তারা বাংলাদেশ থেকে উচ্চমূল্যের, ফ্যাশনেবল পণ্যের আমদানে আগ্রহী। তারা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের প্রবৃদ্ধি, শ্রমিকের নিরাপত্তা ও কল্যাণ এবং সামাজিক ও পরিবেশগত কমপ্লায়েন্সের প্রচেষ্টাকে প্রশংসা করেন। প্রতিনিধিদল মনে করেন, উচ্চমানের পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় জাপানের ক্রেতারা এখন বাংলাদেশকে আস্থাভাজন সোর্সিং গন্তব্য হিসেবে দেখছেন।
বৈঠকে জেটিআইএ প্রতিনিধিদলে ছিলেন— এমএন ইন্টার-ফ্যাশন লিমিটেডের তোশিনা কাওয়াই, কোয়া কোম্পানি লিমিটেডের আন্তর্জাতিক লজিস্টিকস ও অ্যাডমিন ডিপার্টমেন্টের ইসেই নোজাওয়া, তোয়োশিমা অ্যান্ড কোং লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার শিঙ্গো ইগামী, জেটিআইএর ম্যানেজিং ডিরেক্টর নোরিহিরো কোমিয়া এবং এআইটি কর্পোরেশনের মিনামি কোজিরো।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান ২০২৬ সালের পর বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জেটিআইএর মাধ্যমে জাপান সরকারের প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, ‘এই সুবিধা ইপিএ বা পিটিএ-এর মতো পারস্পরিক লাভজনক কাঠামোর মাধ্যমে নিশ্চিত করা যেতে পারে।’
বৈঠকে বিজিএমইএ নেতারা জাপানে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করতে জেটিআইএ প্রতিনিধিদের সহযোগিতা কামনা করেন। জেটিআইএ প্রতিনিধিদল জানায়, তারা বিষয়টি শিগগিরই জাপান সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে আলোচনা করবেন। উভয় সংগঠন পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার এবং জাপানে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বাড়ানোর বিষয়ে একমত প্রকাশ করেন।

