সরকার দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। এই আমদানির জন্য বাজেট ধরা হয়েছে ৪২০ কোটি ৯ লাখ ৬৯ হাজার ২২৫ টাকা ৬০ পয়সা। প্রতি এমএমবিটিইউর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯.৯৯ মার্কিন ডলার।
গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বৈঠকে সরকারি কর্মকর্তারা এলএনজি আমদানির প্রক্রিয়া, ব্যয় এবং সরবরাহের সময়সূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ আন্তর্জাতিক কোটেশন সংগ্রহ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনার প্রস্তাব উত্থাপন করে। এটি আগামী ২য় কার্গো হিসেবে ৯-১০ জানুয়ারি ২০২৬ সময়ের জন্য নির্ধারিত। প্রস্তাবটি পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা ২০২৫-এর বিধি-১০৫(৩) (ক)-এর অনুপস্থিতিতে তৈরি করা হয়।
উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দেয়। কর্মকর্তারা জানান, দক্ষিণ কোরিয়ার এম/এস পোসকো ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন থেকে এই এলএনজি কেনা হবে। এই আমদানি দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে সাহায্য করবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি করলে দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটানো সহজ হবে। এটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও শিল্পখাতের জন্য নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।
এলএনজি আমদানি একটি বড় ধরনের উদ্যোগ, যা দেশের শক্তি নিরাপত্তাকে আরও মজবুত করবে। সরকারের এই পদক্ষেপ দেশীয় জ্বালানি চাহিদা পূরণে এবং আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজারের সঙ্গে দেশের সংযোগ বাড়াতে সহায়ক হবে।

