রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ৭ ডিসেম্বর শুরু হওয়া ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা ১৪ ডিসেম্বর শেষ হয়। ‘এসএমই শক্তি, দেশের অগ্রগতি’ স্লোগানে শুরু হওয়া মেলায় শতভাগ দেশীয় পণ্য প্রদর্শিত হয়। এসএমই ফাউন্ডেশন এই মেলার আয়োজন করেছে।
এসএমই ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা যায়, মেলায় প্রায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে। একই সঙ্গে উদ্যোক্তারা প্রায় ১৬ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন। এভাবে মোট বাণিজ্য হয়েছে ৩১ কোটি টাকা।
প্রতিষ্ঠানের উপ-মহাব্যবস্থাপক মুহাম্মদ মোরশেদ আলম সংবাদপত্রকে বলেন, “এবারের মেলায় ৩১ কোটি টাকার বেশি বাণিজ্য হয়েছে। ক্রেতা ও বিক্রেতারা নিজেদের সঙ্গে চেনাজানা হয়েছে। ভবিষ্যতে বাণিজ্য আরও বাড়তে পারে।”
মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। লেদার খাতে এজিস-এর উদ্যোক্তা শাহীনা আক্তার, পাটজাত পণ্যে সৈয়দপুর এন্টারপ্রাইজের জেনারেল ম্যানেজার মাসুম খান, হ্যান্ডিক্রাফটে ক্রাফটিমেশনের ফারাজানা ইসলাম মৌরী, হারবালে দীঘল-এর নিশাত মেহেদী এবং জুয়েলারিতে আঠকুঠারি নয় দরজার হাফসা মুসলিম।
কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত পণ্যে খাস ফুড লিমিটেডের হাবিবুল মোস্তফা আরমান, ফ্যাশন ডিজাইনে খুঁতের ফারহানা হামিদ, প্লাস্টিকে (রিসাইক্লিং) লিভিজা প্রিকাস্ট কংক্রিটের ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হোসেন, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের চেয়ারম্যান মু. আনোয়ারুল আলম এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান খাতে পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তরকে শ্রেষ্ঠ স্টলের সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
এবারের মেলায় প্রায় সাড়ে ৩শ’ ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এসএমই) শিল্প প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়, যার মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। এছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি, পাটজাত পণ্যের ৩৫টি, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের ২৮টি, শতরঞ্জি, বাঁশ বেত, হোগলা, সুপারিখোল, কাঠের ১৫টি, খাদ্যপণ্য ১৪টি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি, জুয়েলারি শিল্পের ৯টি, প্রসাধন খাতের ৭টি, তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের ৫টি, হারবাল বা ভেষজশিল্পের ৫টি, প্লাস্টিক পণ্যের ৫টি, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স খাতের ৩টি, ফার্নিচার খাতের ৩টি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল অংশ নেয়।
উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি মেলায় অংশ নেয় সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৮টি দপ্তর, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠান।

