তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন নিয়ে শুনানি হবে আগামী বৃহস্পতিবার। আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এই শুনানির দিন ধার্য করেছেন চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক। গতকাল রবিবার আদালত এই তারিখ ঘোষণা করেন। এর আগে ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় দেয়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৯৬ সালে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত সপ্তাহে একটি আবেদন করেন। একই বিষয়ে আরও একটি আবেদন করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি। অন্য আবেদনকারীদের মধ্যে আছেন তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজ উদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।
মির্জা ফখরুলের পক্ষে আদালতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন এবং শিশির মনির। অন্যদিকে পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিকের পক্ষে আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া তাদের মামলা উপস্থাপন করবেন। গতকালের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আইনজীবী শিশির মনির প্রথম আলোকে বলেন যে, আগামী ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এই দুটি রিভিউ আবেদন একসঙ্গে শুনানি হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে এই সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়। ২০০৪ সালে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ এই সংশোধনীকে বৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। এর বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি পেলে ২০০৫ সালে আপিল করা হয়। ২০১০ সালের ১০ মে আপিল বিভাগ ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে। এরপর ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদ পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করে, যা তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপের পথ খুলে দেয়।
আবারো রিভিউ আবেদনের শুনানি নিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে সামনের জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে।