আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালের উপ সলিসিটর (জিপি-পিপি) সানা মো. মাহরুফ হোসাইন গত ৩১ অক্টোবর স্বাক্ষরিত এক আদেশে সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে নতুন পিপি সিনিয়র আইনজীবী আশিক উদ্দিনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। একই আদেশে গত ১৬ অক্টোবর আইনজীবী ফয়েজ উদ্দিনের নিয়োগকে বাতিল করা হয়েছে।
সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন ১৯৯২ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত সিলেট নারী নির্যাতন আদালতে পিপি’র দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে তিনি সিলেট এডিএম কোর্টের অ্যাডিশনাল পিপি ছিলেন।
গত ১৬ অক্টোবর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালের উপ সলিসিটর (জিপি-পিপি) সানা মো. মাহরুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত আদেশে সিলেটে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে নিয়োগ পান আইনজীবী এটিএম ফয়েজ উদ্দিন।
সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পিপি হিসাবে নিয়োগ পাওয়ার পর আইনজীবী এটিএম ফয়েজ উদ্দিনকে প্রত্যাখ্যানসহ তাকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে আদালতপাড়ায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ করেছে জাতায়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। পিপি হিসাবে তাকে নিয়োগ করায় ক্ষুব্ধ বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। জামায়াতপন্থি আইনজীবীরাও তাদের অবস্থান থেকে নিয়োগের পরপরই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়।
বৃহস্পতিবার আদালত এবং খোদ পিপির কার্যালয়ের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। পিপির কার্যালয়ে তালা দেওয়ার ঘটনাও ঘটে।
পরিশেষে পিপি পদ থেকে আইনজীবী এটিএম ফয়েজ উদ্দিনকে সরানো হলো।