বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ড বাতিল চেয়ে করা আপিলের শুনানি আগামী ২৬ মে পর্যন্ত মুলতবি করেছে হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে আংশিক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
আদালতে জুবাইদা রহমানের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ভূঞা, ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ ও অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান রায়হান বিশ্বাস।
এর আগে, গত ১৪ মে হাইকোর্ট ডা. জুবাইদা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল গ্রহণ করেন। সেই সঙ্গে মামলার আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের দেওয়া জরিমানার আদেশ স্থগিত করা হয় এবং তাঁকে জামিন দেওয়া হয়।
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল হুদা রাজধানীর কাফরুল থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ ছিল, তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং তারেক রহমানের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তা গোপনের মাধ্যমে দুর্নীতি করেছেন।
দীর্ঘ তদন্ত ও বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তারেক রহমানকে ৯ বছর এবং ডা. জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ডা. জুবাইদা রহমান বর্তমানে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেন, যা এখন বিচারাধীন। আদালতের পরবর্তী শুনানিতে তাঁর সাজা বহাল থাকবে কি না, নাকি বাতিল হবে—সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।