ফ্লোরিডার মার্কিন ডিস্ট্রিক্ট আদালতের বিচারক স্টিভেন মেরিডে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ১৫ বিলিয়ন ডলারের মানহানি মামলা খারিজ করেছেন। বিচারকের রায়ে বলা হয়েছে, মামলার অভিযোগপত্রে মাত্র দুটি মানহানির অভিযোগ থাকলেও পুরো নথি ৮৫ পৃষ্ঠার। ‘কাউন্ট-১’ এসেছে ৮০তম পৃষ্ঠায় এবং ‘কাউন্ট-২’ ৮৩তম পৃষ্ঠায়, যা নিয়ম অনুযায়ী একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।
বিচারক রায়ে আরও উল্লেখ করেছেন, মামলার নথিতে ট্রাম্পকে ঘিরে পুনরাবৃত্তি, অতিরিক্ত প্রশংসা ও অপ্রাসঙ্গিক তথ্য যুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, অভিযোগপত্র প্রমাণ সাজানোর বা রাজনৈতিক তর্ক পুনরাবৃত্তি করার জায়গা নয়। মামলাটি ট্রাম্প গত সপ্তাহে দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, নিউইয়র্ক টাইমস, প্রকাশক পেঙ্গুইন এবং টাইমসের দুই রিপোর্টার তার বিরুদ্ধে ডেমোক্র্যাটদের মুখপাত্রের মতো কাজ করেছে। এছাড়া তার টেলিভিশন শো দ্য অ্যাপ্রেন্টাইস এবং বই লাকি লুজার: হাউ ডোনাল্ড ট্রাম্প স্কোয়ান্ডার্ড হিজ ফাদার’স ফরচুন অ্যান্ড ক্রিটেড দ্য ইল্যুশন অব সাকসেস–এ মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করেছে।
মামলায় দাবি করা হয়েছে, বইটিতে ট্রাম্পের পারিবারিক সম্পদকে ‘কর ফাঁকির ষড়যন্ত্রের ফল’ বলা হয়েছে, যা বাস্তবের সঙ্গে মেলে না। এছাড়া তার ব্যবসা, পড়াশোনা এবং মাফিয়া ও মানি লন্ডারিং তদন্ত সম্পর্কিত খবরকেও তিনি ‘ভিত্তিহীন’ আখ্যা দিয়েছেন। বিচারক ট্রাম্পকে ২৮ দিনের মধ্যে মামলাটি পুনরায় সাজিয়ে দাখিল করার অনুমতি দিয়েছেন।
নিউইয়র্ক টাইমস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মামলাটির কোনো আইনি ভিত্তি নেই। এটি গণমাধ্যমকে ভয় দেখানোর কৌশল ছাড়া কিছু নয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা সত্য প্রকাশে নিরপেক্ষ এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভয়ভীতি কোনোভাবেই সাংবাদিকদের প্রথম সংশোধনী অধিকারকে রুখতে পারবে না।