দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসির সাবেক চেয়ারম্যান এইচ বি এম ইকবালসহ ২০ জনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।
আজ মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দুদকের আবেদনের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত অন্যদের মধ্যে রয়েছেন—এইচ বি এম ইকবালের ছেলে ও ব্যাংকের পরিচালক মোহাম্মদ ইমরান ইকবাল, ভাই মঈন ইকবাল, বোন নওরীন ইকবাল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. আবু জাফর ও কাজী আব্দুল মজিদ, সাবেক এমডি ও সিইও খন্দকার ফজলে রশিদ, এম শাহ আলম সারোয়ার, নিয়াজ হাবীব, মাসিহুল হক চৌধুরী, কে এ এ এম মাজেদুর রহমান, ড. এম রিয়াজুল করিম, অতিরিক্ত এমডি সৈয়দ নওশের আলী, শহীদ হাসান মল্লিক, শাহেদ সেকান্দার, সাবেক অতিরিক্ত এমডি শামসুদ্দিন চৌধুরী, পরিচালক আরিফ আলম, ফৌজিয়া রেকজা বানু, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও অপারেশন ম্যানেজার এ এম ওমর খসরু এবং ফরিদা ইয়াসমিন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী রিয়াজ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। দুদকের পক্ষে সংস্থার উপপরিচালক হোসাইন শরীফ এ আবেদনে দেশত্যাগ নিষেধের আবেদন করেন।
আবেদনে দুদক জানায়, এইচ বি এম ইকবাল ও তার পরিবারের সদস্যরা পরস্পর সহযোগিতায় প্রিমিয়ার ব্যাংকের অফিস ভাড়া বাবদ ১৪৩৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া ব্যাংক থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে লোন বিতরণ দেখিয়ে ৪৮১৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ, স্টেশনারি খাতে ভুয়া ব্যয় দেখিয়ে ১৯৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং বিভিন্ন ব্যক্তির নামে এফডিআর খুলে অবৈধ মুনাফা প্রদান করে শত কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে। প্রিমিয়ার ব্যাংক ফাউন্ডেশন, বিপিএল এবং টেলিভিশনে ভুয়া প্রচার দেখিয়েও শত কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
দুদক জানায়, বিশ্বস্ত সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে—এইচ বি এম ইকবাল ও তার পরিবারের সদস্যরা বিদেশে পালানোর চেষ্টা করছেন। তারা দেশ ত্যাগ করলে চলমান অনুসন্ধান ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই অভিযোগের স্বচ্ছ অনুসন্ধান নিশ্চিত করতে তাদের বিদেশ গমন বন্ধ করা জরুরি বলে দুদক আদালতকে জানায়।

