বুধবার (৬ নভেম্বর) রাতে ফোনকল পেয়ে বাড়ি থেকে বের হয় রুবেল মিয়া। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। কোথাও না পাওয়া গেলে পরিবারের লোকজন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকালে ধল্লা ইউনিয়নের ফোর্ডনগর এলাকার ধলেশ্বরী নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের লাশ উদ্ধারের ৪ ঘণ্টার মাথায় এই খুনের রহস্য উদ্ঘাটন করে আসামীদের গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪।
র্যাব-৪ মানিকগঞ্জ সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. আরিফ হোসেন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী বিজয় এবং শ্রাবণী হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছে।
হত্যার কারণ অনুসন্ধান করে র্যাব জানান, ফোর্ডনগর এলাকার বিজয় (১৯) এবং শ্রাবণী আক্তারের (১৮) মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হলে প্রতিবেশী চাচা রুবেল মিয়া বিজয়ের মুঠোফোন জব্দ করে। এসময় মোবাইলে সংরক্ষিত ব্যক্তিগত ছবি তার নিজের মোবাইলে নিয়ে নেয় এবং বিজয়কে প্রেমের সম্পর্ক থেকে সরে আসতে বলে। অন্যথায় দেখে নেওয়ারও হুমকি দেয়। এরপর থেকেই শ্রাবনী আক্তারকে ব্যক্তিগত ছবি প্রচারের ভয় দেখিয়ে অনৈতিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয় রুবেল। প্রস্তাবে রাজী না হলে ব্যক্তিগত ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হবে বলে একাধিকবার জানানো হয়।
বিষয়গুলো প্রেমিক বিজয়কে জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে রুবেলকে হত্যার পরিকল্পনা করে বিজয় ও শ্রাবণী। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বুধবার (৬নভেম্বর) মধ্যরাতে ফোর্ডনগর এলাকার ‘আক্তার ডেইরী ফার্ম’ সংলগ্ন ধলেশ্বরী নদীর পাড়ে আসতে বলে। রুবেল মিয়া সেখানে আসলে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা আসামি বিজয় পেছন থেকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে। আঘাত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পরলে কাপড় কাটার কেচি দিয়ে গলা ও মাথায় আঘাত করে হত্যা নিশ্চিত করা হয়।
র্যাব-৪ মানিকগঞ্জ সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. আরিফ হোসেন জানান, বিষয়ে আমাদের আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।