রাজউকের ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্পে তিন ও পাঁচ কাঠার প্লট বরাদ্দ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১৫ জন গাড়িচালক। অথচ এই প্রকল্পের আওতায় প্লট বরাদ্দের নিয়ম অনুযায়ী, কেবল রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ চার শ্রেণির মানুষকে এসব জমি দেওয়ার কথা।
গতকাল বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয় থেকে পরিচালিত এক এনফোর্সমেন্ট অভিযানে এই তথ্য সামনে আসে। বৃহস্পতিবার দুদকের জনসংযোগ দফতর অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে।
প্লট পাওয়া ব্যক্তিরা সবাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে কর্মরত চালক। এদের মধ্যে রয়েছেন:
- ভিভিআইপি গাড়িচালক সাইফুল ইসলাম
- সফিকুল ইসলাম
- অ্যাম্বুলেন্স চালক নূরুল ইসলাম লিটন
- মুখ্য সচিবের চালক রাজন মাদবর
- সচিবের গাড়িচালক মাহবুব হোসেন
- একান্ত সচিব-১-এর চালক মো. শাহীন
- একান্ত সচিব-২-এর চালক মতিউর রহমান
- সহকারী একান্ত সচিব-১-এর চালক নূর হোসেন বেপারী
- সহকারী একান্ত সচিব-২-এর চালক বোরহান উদ্দিন
- বিশেষ সহকারী (মশিউর রহমান হুমায়ুন)-এর চালক বেলাল হোসেন
- চিফ ফটোগ্রাফারের চালক মিজানুর রহমান
- প্রটোকল অফিসার-১-এর চালক বাচ্চু হাওলাদার
- নথিপত্র পরিবহনের দায়িত্বে থাকা চালক নুরুল আলম
- বিশেষ সহকারী (ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া)-এর চালক নুরনবী (ইমন)
- প্রটোকল অফিসার-২-এর চালক মো. শাহীন
দুদকের অভিযানকালে এনফোর্সমেন্ট টিম রাজউকের ঝিলমিল প্রকল্পের প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত নথি পর্যালোচনা করে দেখতে পায়, ‘১৩/এ’ ধারায় রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের ভিত্তিতে চারটি শ্রেণিতে প্লট বরাদ্দের বিধান রয়েছে। তবে তদন্তে দেখা যায়, এ নিয়মের বাইরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অন্তত ১৫ জন চালককে বিভিন্ন সময় প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দুদক জানায়, এসব প্লট বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। পরে রাজউক সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে।
প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ যাচাইয়ে এনফোর্সমেন্ট টিম সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করেছে। প্রাপ্ত দলিলপত্র বিশ্লেষণ করে কমিশনের কাছে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে দুদক সূত্রে।

