কুষ্টিয়ার শিলাইদহে রবীন্দ্র কুঠিবাড়ী ও পদ্মা নদীর ঘাট উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দকৃত টাকার হিসাব গরমিল পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের ৯০ লাখ টাকার এ প্রকল্পে ব্যয়ের সঙ্গে কাগজপত্রের অমিল ধরা পড়ায় তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
প্রকল্পের আওতায় ওয়াশ ব্লক, ওয়াটার রিজার্ভার, গভীর নলকূপ, পাম্প মোটর, আরসিসি রোড, সাইট ডেভেলপমেন্ট, ছাতা ও বেঞ্চ নির্মাণের কথা ছিল। তবে অভিযোগ উঠেছে—প্রতিশ্রুত অনেক কাজ বাদ দিয়ে শুধু আরসিসি রোড, সাইট ডেভেলপমেন্ট, ছাতা ও বেঞ্চ নির্মাণ দেখিয়েই পুরো অর্থ ব্যয় দেখানো হয়েছে।
গত ২৬ মে কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমিতে দুদকের গণশুনানিতে এই অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এরপর দুদকের নির্দেশে জেলা প্রশাসন পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির প্রধান জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মুকুল কুমার মৈত্র জানিয়েছেন, ব্যয়ের প্রমাণপত্রে ৬৯ লাখ টাকার হিসাব মিললেও অবশিষ্ট ২১ লাখ টাকার কোনো ব্যাখ্যা নেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে। ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি) অনুযায়ী নির্ধারিত কাজগুলো সম্পন্ন হয়নি। এর আগে একই প্রকল্পে দুই দফা তদন্ত হলেও প্রতিবেদনে ‘সব ঠিক আছে’ উল্লেখ করা হয়েছিল।
গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুজ্জামান হোসেন বলেন- এ প্রকল্পের টেন্ডার ও ব্যয় জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে হয়েছে। তাদের বিভাগ কেবল টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিয়েছে, আর্থিক বিষয়ে কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না।
তদন্ত কমিটির প্রধান মুকুল কুমার মৈত্র জানান, বরাদ্দের মধ্যে ৬৯ লাখ টাকার পাঁচটি কাজ যথাযথভাবে হয়েছে কি না, তা যাচাই চলছে। তবে বাকি টাকার জবাব জেলা প্রশাসনকেই দিতে হবে।
দুদক কুষ্টিয়া কার্যালয়ের উপপরিচালক মঈনুল হাসান রওশনী বলেন, গণশুনানিতে ওঠা অভিযোগের পর তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষ হলে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

