মানিকগঞ্জে কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে পণ্য পাচারের অভিযোগ উঠেছে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন জননী এক্সপ্রেস অ্যান্ড পার্সেল সার্ভিস থেকে বিপুল পরিমাণ জুতা জব্দ করেছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে বেউথা রোডের কুরিয়ার অফিসে অভিযান চালান সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল-মুনতাসির মামুন। অভিযানে ১৭টি কার্টনভর্তি ‘নিউ চায়না’ ব্র্যান্ডের ৩৮৮ জোড়া জুতা জব্দ করা হয়। জুতার বাজারমূল্য প্রায় এক লাখ টাকা।
অভিযান শেষে ম্যাজিস্ট্রেট আল-মুনতাসির মামুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে একটি বড় চালান এসেছে। চালানের কোনো মুসক কাগজপত্র ছিল না। ম্যানেজারকে বারবার জিজ্ঞেস করা হলেও তিনি বৈধতা প্রমাণ করতে পারেননি। তাই পুরো চালান জব্দ করা হয়েছে।’
অভিযানে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট মানিকগঞ্জ সার্কেলের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা অরবিন্দ মালী এবং জেলা পুলিশের একটি দল সহযোগিতা করেন।
জননী এক্সপ্রেসের ম্যানেজার মো. মাসুদ রানা স্বীকার করেন, ‘নিউ চায়না ফুটওয়্যার ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফ্যাক্টরি থেকে মানিকগঞ্জের জ্যাম শুজের ঠিকানায় ১৭টি কার্টুনে ৩৮৮ জোড়া জুতা পাঠানো হয়েছিল। তবে চালানের সঙ্গে কোনো মুসক কাগজপত্র ছিল না। এজন্য এগুলো জব্দ করে ডিসি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জব্দকৃত জুতার চালান সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও ফ্যাক্টরির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ম্যাজিস্ট্রেট আল-মুনতাসির মামুন বলেন, ‘যেসব ব্যবসায়ী নিয়মিত মুসক ফাঁকি দিয়ে পণ্য পরিবহন করছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কুরিয়ার সার্ভিসকেও এ ধরনের অবৈধ চালান গ্রহণ না করার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।’

