Close Menu
Citizens VoiceCitizens Voice
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp Telegram
    Citizens VoiceCitizens Voice Fri, Dec 19, 2025
    • প্রথমপাতা
    • অর্থনীতি
    • বাণিজ্য
    • ব্যাংক
    • পুঁজিবাজার
    • বিমা
    • কর্পোরেট
    • বাংলাদেশ
    • আন্তর্জাতিক
    • আইন
    • অপরাধ
    • মতামত
    • অন্যান্য
      • খেলা
      • শিক্ষা
      • স্বাস্থ্য
      • প্রযুক্তি
      • ধর্ম
      • বিনোদন
      • সাহিত্য
      • ভিডিও
    Citizens VoiceCitizens Voice
    Home » মামলা-হয়রানিতে থমকে গেছে শিল্পের অগ্রযাত্রা
    অপরাধ

    মামলা-হয়রানিতে থমকে গেছে শিল্পের অগ্রযাত্রা

    মনিরুজ্জামানSeptember 21, 2025
    Facebook Twitter Email Telegram WhatsApp Copy Link
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Telegram WhatsApp Email Copy Link

    মামলা-হামলাসহ নানা হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ডে দেশের ব্যবসায়ীরা তীব্র আস্থার সংকটে পড়েছেন। নতুন বিনিয়োগের প্রশ্ন এখন গৌণ হয়ে গেছে। ব্যবসায়ীদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁদের প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বিদ্যমান পুঁজি টিকিয়ে রাখা।

    ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও খাতসংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আস্থাহীনতার এই পরিবেশে উৎপাদনমুখী শিল্প ক্রমেই স্থবির হয়ে পড়ছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার পরিণতিও দেখা দিচ্ছে স্পষ্টভাবে। ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর একের পর এক মামলা, কারখানা ভাঙচুর, দখল, অগ্নিসংযোগ আর শ্রমিক অসন্তোষে ভয়ের সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়ে। সেই সময়ে অনেক ব্যবসায়ী দেশ ছাড়তে বাধ্য হন।

    কিন্তু তাঁদের বেশির ভাগই এখনো ফেরেননি। ফলে শিল্পকারখানাগুলো ধুঁকছে, উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। এতে কর্মচারী ও শ্রমিকদের ওপর পড়ছে মারাত্মক প্রভাব। অনেকেই অর্থসংকটে ভুগছেন, পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। অর্থনীতিবিদদের মতে, বিনিয়োগে আস্থার সংকট কাটাতে স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ, ব্যবসায়বান্ধব নীতি এবং সুশাসনের বিকল্প নেই।

    রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে নতুন করে ব্যবসায়ীরা দেশ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন। বিশ্লেষকদের মতে, এটি অর্থনীতির জন্য অশনিসংকেত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, অস্থিরতার প্রথম ধাক্কা কাটিয়ে বেসরকারি খাত ঘুরে দাঁড়ানোর যে আশা ছিল, তা ম্লান হয়ে যাচ্ছে। মামলা ও হয়রানিতে বিপর্যস্ত উদ্যোক্তাদের মধ্যে আবারও অনিশ্চয়তার ছায়া নেমে এসেছে। সরকার ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের বড় অংশ এখনো আশ্বস্ত নন। তাঁদের মতে, এই আস্থাহীনতা বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের চাকাকে উল্টো দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

    অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা স্বীকার করছেন, যতক্ষণ না সরকার হয়রানিমুক্ত ও নিরাপদ ব্যবসার পরিবেশ নিশ্চিত করবে, ততক্ষণ অর্থনীতির চাকায় কাঙ্ক্ষিত গতি ফেরানো সম্ভব নয়। এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত বেসরকারি খাতের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হবে না। বেসরকারি খাতকে ভালো করতে হলে বিনিয়োগ করতে হবে। শুধু টাকা থাকলেই বিনিয়োগ হয় না। বিনিয়োগের জন্য পরিবেশ ও স্থিতিশীল পরিস্থিতি প্রয়োজন।” আর্থিক খাতের অবস্থা আগেই ভালো ছিল না, এখন আরও খারাপ হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত না হলে বেসরকারি খাতের উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

    বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএস) গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবির  বলেন, ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা ও হয়রানির কারণে অনেক উদ্যোক্তা বিনিয়োগে নিরুৎসাহ হচ্ছেন। কেউ কেউ দেশও ছাড়ছেন। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর তথ্যমতে, এরই মধ্যে শতাধিক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এর বাইরে আরও অনেক কারখানায় কর্মী ছাঁটাই চলছে। সরকারের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ব্যবসায়ীরা এখনো পুরোপুরি আস্থায় ফিরতে পারেননি। তাঁর মতে, আস্থার সংকট দূর করা এখন জরুরি।

    ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, একটি নির্দিষ্ট বছরের বিনিয়োগ সাধারণত পরবর্তী কয়েক বছরের প্রবৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে। ২০২৫ সালে বিনিয়োগ কম হলে ভবিষ্যতে প্রবৃদ্ধির গতি কমে যাবে। এতে বেকারত্ব ও দারিদ্র্য বাড়তে পারে। তিনি আরও বলেন, প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার চ্যালেঞ্জ দ্রুত কাটিয়ে উঠতে হবে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ হলেও দারিদ্র্য দূরীকরণে কর্মসংস্থানের ন্যূনতম স্তরের প্রবৃদ্ধি অপরিহার্য। স্থিতিশীলতা না থাকলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য প্রয়োজনীয় স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব নাও হতে পারে।

    আগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকেই দেশের শিল্পাঞ্চলে দেখা দেয় ভয়াবহ অস্থিরতা। বিশেষ করে গাজীপুর, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাতসহ বিভিন্ন কারখানায় ঘটে সহিংস বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। এতে শত শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) তথ্য অনুযায়ী, আগস্টের সহিংসতায় চার শতাধিক কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশ কয়েকটি কারখানা মালিককে অনির্দিষ্টকালের জন্য উৎপাদন বন্ধ করতে হয়েছে।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, “আমার ৩০ বছরের ব্যবসায়িক জীবনে এমন দুঃস্বপ্ন দেখিনি। দিনের পর দিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কারখানা পাহারা দিয়েছি কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। একদল উচ্ছৃঙ্খল জনতা কারখানায় ঢুকে ভাঙচুর চালায় ও আগুন ধরিয়ে দেয়।” রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, মামলা ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে বেসরকারি খাত চরম সংকটে পড়েছে। বিনিয়োগ বাড়ছে না, বরং অনেক শিল্পমালিক দেশ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন।

    বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, রাজনৈতিক কারণে কিছু কারখানা মালিক দেশ ছেড়ে গেছেন, এতে ব্যবসা-বাণিজ্যের বড় ক্ষতি হচ্ছে। আবার অনেক ব্যবসায়ীকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হচ্ছে, যা খুবই দুঃখজনক। তিনি জানান, বিজিএমইএ তাদের সদস্যদের হয়রানি ঠেকাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, কারখানার নিরাপত্তা, ব্যাংকের উচ্চ সুদের হার ও জ্বালানি সংকট সমাধানে সরকারকে বারবার অনুরোধ করা হচ্ছে। তাঁর মতে, এগুলো দ্রুত সমাধান না হলে অর্থনীতিতে বেসরকারি খাতের অবদান প্রত্যাশিত হারে বাড়বে না।

    বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. মুস্তফা কে মুজেরি বলেন, একটি দেশের বেসরকারি খাতের শক্তি বোঝার কিছু নির্দেশক আছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, নতুন বিনিয়োগ হচ্ছে না। ব্যাংক ঋণের চাহিদা বাড়ছে না। ঋণ প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে, যা গত ২২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। কাঁচামালের আমদানিও কমেছে। আগের কিছু কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে বিনিয়োগ বৃদ্ধির কোনো লক্ষণ নেই। তিনি সতর্ক করে বলেন, নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত না হলে ব্যবসায়ীদের আস্থা ফেরানো কঠিন হবে। অস্থিরতার পর থেকেই দেশের অনেক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হয়েছে। অভিযোগের তালিকায় রয়েছে শ্রমিকদের উসকানি দেওয়া থেকে শুরু করে পূর্ববর্তী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার মতো বিষয়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এসব মামলার বড় অংশই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং হয়রানিমূলক।

    সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সফিকুল ইসলাম খান সবুজ বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে কিছু অসাধুচক্র মামলা বাণিজ্য শুরু করে। সেই ধারাবাহিকতায় তারা বিভিন্ন ব্যবসায়ী গোষ্ঠীকে টার্গেট করে হয়রানি করছে। অথচ দেশের অর্থনীতিকে টিকিয়ে রেখেছেন এই ব্যবসায়ীরাই। যাঁদের বিরুদ্ধে কোনো নির্দিষ্ট অভিযোগ নেই, তাঁদেরও মামলায় জড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের আরেক আইনজীবী নাহিদুল ইসলাম বলেন, যে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হয়, সেই দেশের জীবনমানও উন্নত হয় কিন্তু স্বার্থান্বেষী মহল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে অর্থনীতির চাকা আটকে দিচ্ছে। তাঁর মতে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া যেসব ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে, তা প্রত্যাহার করা উচিত।

    দেশে বেকারত্বের হার আবারও বেড়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সাম্প্রতিক শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ৪.৬৩ শতাংশে। বর্তমানে দেশে বেকারের সংখ্যা ২৭ লাখ ৩০ হাজার। শুধু বিদেশি নয়, দেশীয় বিনিয়োগও বাড়ছে না। এর প্রভাব পড়ছে বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবৃদ্ধিতে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত জুনে যেখানে প্রবৃদ্ধি ছিল ৬.৪৯ শতাংশ, জুলাইয়ে তা বেড়ে হয়েছে মাত্র ৬.৫২ শতাংশ। প্রবৃদ্ধি কিছুটা বাড়লেও তা আশানুরূপ নয়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানির জন্য খোলা এলসি কমেছে ২৫ শতাংশ। একইভাবে কমেছে এলসি নিষ্পত্তিও। বিশ্লেষকদের মতে, এটি বিনিয়োগ কমে যাওয়ার সরাসরি ইঙ্গিত।

    সাম্প্রতিক হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩.৯৭ শতাংশ। এর আগের বছর প্রবৃদ্ধি ছিল ৪.২২ শতাংশ। শুধু প্রবৃদ্ধিই নয়, সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগও কমেছে। বিদায়ী অর্থবছরে জিডিপির ২২.৪৮ শতাংশ এসেছে বেসরকারি বিনিয়োগ থেকে। আগের বছর যা ছিল ২৩.৫১ শতাংশ। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, ব্যবসা মন্দার প্রভাবেই এই পতন ঘটেছে।

    বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ব্যবসায়ীদের আস্থা ফেরাতে কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছে। একই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। তবে উদ্যোক্তাদের আশা, দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া না হলে আস্থার সংকট কাটানো কঠিন হবে। সম্প্রতি বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে ব্যবসায়ী নেতারা তাঁদের উদ্বেগের কথা সরাসরি তুলে ধরেন। তাঁরা বলেন, প্রতিশ্রুতি নয়, দৃশ্যমান পদক্ষেপ চাই। ব্যবসায়ীদের দাবি—সব হয়রানিমূলক মামলা দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে, কারখানা ও ব্যবসায়ীদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি ঘন ঘন নীতি পরিবর্তনের বদলে দীর্ঘমেয়াদি ও অনুমানযোগ্য নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা তৈরি হবে। ব্যবসায়ী নেতারা আরও জানান, সরকারের সঙ্গে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর নিয়মিত সংলাপের ব্যবস্থা থাকতে হবে, যাতে উদ্ভূত সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করা যায়।

    সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, মামলা-হয়রানির কারণে উদ্যোক্তাদের মধ্যে ভয় ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তাঁরা বড় কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না। স্থানীয় উৎপাদকরা কারখানা সম্প্রসারণ স্থগিত রেখেছেন। ফলে অর্থনীতির পুনরুদ্ধার যে গতি পাওয়ার কথা ছিল, তা আসছে না। তাঁর মতে, বেসরকারি খাত ছাড়া প্রবৃদ্ধি সম্ভব নয়। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি বেসরকারি খাত। তাই এই খাতকে পাশ কাটিয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয়। সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হবে ব্যবসায়ীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা।

    বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএস) গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবীর বলেন, এই মুহূর্তে অর্থনীতির সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো আস্থা পুনরুদ্ধার। সরকারের উচিত কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করা যে তারা ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে বদ্ধপরিকর। ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা ও সম্মান দিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ দিতে পারলেই বেসরকারি খাত ঘুরে দাঁড়াবে এবং অর্থনীতির চাকায় নতুন গতি আসবে।

    Share. Facebook Twitter LinkedIn Email Telegram WhatsApp Copy Link

    সম্পর্কিত সংবাদ

    অর্থনীতি

    বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনকুবেরদের সম্পদ ২.৫ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

    December 18, 2025
    অর্থনীতি

    ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী কয়লার চাহিদা কমবে

    December 18, 2025
    আইন আদালত

    শ্রম আইন সংশোধনে শিল্প সংগঠনের আপত্তি

    December 18, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    সর্বাধিক পঠিত

    সাউথইস্ট ব্যাংকে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাত

    আইন আদালত October 7, 2025

    ক্রেতারা ভারত-চীন ছাড়ছে, বাংলাদেশ পাচ্ছে অর্ডার

    অর্থনীতি August 15, 2025

    সব ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপী নয়

    মতামত January 13, 2025

    বরিশালের উন্নয়ন বঞ্চনা: শিল্প, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে নেই অগ্রগতি

    মতামত April 22, 2025
    সংযুক্ত থাকুন
    • Facebook
    • Twitter
    • Instagram
    • YouTube
    • Telegram

    EMAIL US

    contact@citizensvoicebd.com

    FOLLOW US

    Facebook YouTube X (Twitter) LinkedIn
    • About Us
    • Contact Us
    • Terms & Conditions
    • Comment Policy
    • Advertisement
    • About Us
    • Contact Us
    • Terms & Conditions
    • Comment Policy
    • Advertisement

    WhatsAppp

    01339-517418

    Copyright © 2025 Citizens Voice All rights reserved

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.