কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এক স্কুল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে প্রায় ২৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে জানাজানি হলে তিনি টাকা ফেরত না দিয়ে তড়িঘড়ি করে নিজেই বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এলাকাবাসী অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)-র কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
অভিযুক্ত মো. কামরুজ্জামান উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের তারাশাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বিদ্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে স্কুল পরিচালনা কমিটির অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষায় ৯ লাখ ৯০ হাজার ৮৫৬ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া যায়। পরে তৎকালীন সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের মধ্যস্থতায় চার কিস্তিতে বিদ্যালয়কে চার লাখ টাকা পরিশোধের শর্তে সমঝোতা হয়। এরপর কামরুজ্জামান দুই কিস্তি পরিশোধ করলেও কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আর টাকা জমা দেননি।
বর্তমান স্কুল পরিচালনা কমিটি ২০২১ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত নতুনভাবে অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা চালিয়ে ১৪ লাখ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পায়। মো. কামরুজ্জামান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ায় দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তৎকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের সহযোগিতায় বিদ্যালয়ে নিয়োগ পেয়েছিলেন। এরপর তিনি বিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অনিয়ম চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত মো. কামরুজ্জামান বলেন, “কমিটি যে অর্থনৈতিক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে, তা প্রমাণ করতে পারবে না। এছাড়া এই কমিটির কোনো বৈধতা নেই। তারা কীভাবে অডিট করল? অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে আমি আইনগতভাবে মোকাবেলা করব।” অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ কে এম মীর হোসেন জানান, “তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

