রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির নারুয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে খাজনা পরিশোধ নিয়ে এক কৃষকের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। ৬ হাজার টাকা দিয়ে খাজনা পরিশোধের পর রসিদে দেখা যায় মাত্র ৫৭৩ টাকা লেখা। ঘটনায় ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগী সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বালিয়াকান্দির নারুয়া ইউনিয়নের পাটকিয়াবাড়ী গ্রামের কৃষক নাসির শেখ বড় ঘি কমলা মৌজার ৬৮ নম্বর খতিয়ানের একটি জমি খালেকের কাছ থেকে ক্রয় করেন। জমির নামজারি করতে হলে খাজনার রসিদ প্রয়োজন হয়।
৪ নভেম্বর সকালে নাসির শেখ নারুয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে খাজনা পরিশোধ করতে যান। সেখানে কর্মচারী জিহাদ প্রথমে ১২ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে অনুরোধে ৬ হাজার টাকায় রাজি হন। অফিসের আরেক কর্মচারী শিবাজীর হাতে টাকা দেওয়ার পর তিনি তা জিহাদের হাতে পৌঁছে দেন। কিছুক্ষণ পর নাসির শেখের হাতে যে রসিদটি দেওয়া হয়, তাতে দেখা যায় খাজনা পরিশোধের পরিমাণ মাত্র ৫৭৩ টাকা।
ভুক্তভোগী নাসির শেখ বলেন, “আমি নিজের কেনা জমির খাজনা দিতে গিয়েছিলাম। তারা প্রথমে ১২ হাজার টাকা চায়, পরে ৬ হাজার নেয়। কিন্তু রসিদে দেখি ৫৭৩ টাকা লেখা। আমি বাকি টাকা ফেরত ও দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের শাস্তি চাই।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে কর্মচারী জিহাদের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
বালিয়াকান্দির সহকারী কমিশনার (ভূমি) এহসানুল হক শিপন বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পর নারুয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের প্রধান সহকারীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জিহাদ ও শিবাজীকে শোকজ করতে। তারা লিখিত জবাবও জমা দিয়েছেন।”

