ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা জায়, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পরিচালনা পর্ষদ প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই, ২৪-সেপ্টেম্বর, ২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যায় চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির মুনাফা কমেছে। প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৯২ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৬ টাকা ৬৭ পয়সা।
প্রতিবেদনের তথ্য মতে, প্রথম প্রান্তিকে ওয়ালটনের শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৯২ টাকা; আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ১৬ দশমিক ৬৮ টাকা। চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির ক্রেতাদের কাছ থেকে অর্থ প্রাপ্তির পরিমাণ কিছুটা কমেছে। এর প্রধান কারণ হলো, বিতরণ নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করার পাশাপাশি স্থিতিশীল ও টেকসই বাজার নিশ্চিত করতে ঋণসহায়তা বাড়ানো।
প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির এনএভি বা শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত ২৮২ দশমিক ৮০ টাকা, এবং পুনর্মূল্যায়নসহ ৩৮৪ দশমিক ২২ টাকা। একই সময়ে কোম্পানির পরিচালন মুনাফা কিছুটা হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ৩৮ শতাংশ; আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ২২ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটের তথ্যানুসারে, মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার দরপতন হওয়ার পাশাপাশি উচ্চ সুদহারের কারণে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিক শেষে ওয়ালটন হাইটেকের বিক্রয়ের বিপরীতে আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ১২ শতাংশ; আগের বছরে যা ছিল ৫ দশমিক ২২ শতাংশ।
শেয়ারবাজারে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের লেনদেনযোগ্য শেয়ার বৃদ্ধি এবং গ্রুপটির ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন অন্যান্য কোম্পানি বাজারে আনতে চায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সে জন্য ওয়ালটন গ্রুপের শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার বৈঠক করেছে বিএসইসি।
চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের ক্রেতাদের কাছ থেকে অর্থ প্রাপ্তির পরিমাণ কিছুটা কমেছে। এর প্রধান কারণ হলো, বিতরণ নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করার পাশাপাশি স্থিতিশীল ও টেকসই বাজার নিশ্চিত করতে ঋণসহায়তা বাড়ানো।