বাংলাদেশের মাটি কৃষিপ্রধান। এখানকার মানুষের ইতিহাস, সংস্কৃতি, জীবনধারা ও অর্থনৈতিক কাঠামো—সবই এককথায় কৃষিকে ঘিরে গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি যতই বহুমুখী হোক না কেন, এর মূল ভিত্তি এখনো গাঁথা আছে কৃষকের কাস্তে, লাঙল আর ঘামে। দেশে যত খাদ্যশস্য, সবজি, ফল, মাছ বা মাংস আমরা খাই—তার সবই আসে সরাসরি কৃষকের পরিশ্রম থেকে। শুধু খাবারই নয় কৃষিকে ঘিরে গড়ে উঠেছে হাজারো ব্যবসা, শিল্প, কর্মসংস্থান এবং বৈদেশিক বাণিজ্য। তাই কৃষকের সাফল্য মানেই দেশের অর্থনীতির শক্ত ভিত গড়ে তোলা।
বর্তমান বিশ্বে যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন ও খাদ্য সংকটের সময়ে কৃষির গুরুত্ব আরও বহুগুণে বেড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে প্রশ্নটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ- কেন কৃষক ভালো থাকলে দেশের অর্থনীতি মজবুত হয়? তাই প্রশ্ন উঠতেই পারে—কেন কৃষক ভালো থাকলে দেশের অর্থনীতি মজবুত হয়?
এই প্রশ্নের উত্তর শুধু মানবিক আবেগে নয়, অর্থনৈতিক বাস্তবতায়ও সুদৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত। এই প্রেক্ষাপটে এখন বাস্তব ও বিশ্লেষণভিত্তিক কয়েকটি দিক দেখে নেওয়া যাক।
কৃষকের জীবন মানে দেশের প্রাণচাঞ্চল্য: বাংলাদেশে এখনও প্রায় ৪০% মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির সাথে জড়িত। এটি বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কৃষকের আয় বাড়লে তারা গ্রামে বাজারে কেনাকাটা করে, সন্তানদের পড়াশোনায় ব্যয় করে, গৃহস্থালির পণ্য কিনে। এতে অভ্যন্তরীণ বাজার চাঙ্গা থাকে এবং সামগ্রিকভাবে অর্থনীতির চাকা সচল থাকে। একজন কৃষক ভালো থাকলে তার চারপাশের ছোট ছোট ব্যবসাও বাঁচে।
খাদ্য নিরাপত্তা ও মূল্য স্থিতিশীলতা: কৃষকের উৎপাদন ভালো হলে দেশে খাদ্যের সরবরাহ বাড়ে, ফলে খাদ্যদ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে করে জনগণের জন্য খাদ্য সহজলভ্য হয় এবং দ্রব্যমূল্যের চাপ কিছুটা হলেও কমে আসে। আবার কৃষক যদি ভালো না থাকে উৎপাদনে ভাটা পড়ে, তখন বাজারে ঘাটতি তৈরি হয়, দাম বেড়ে যায় এবং মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে। অর্থাৎ কৃষকের কল্যাণ মানেই দেশের খাদ্যনিরাপত্তা ও মূল্য নিয়ন্ত্রণ।
কর্মসংস্থান বৃদ্ধি: কৃষি একা নয়—এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে বীজ, সার, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্র, প্যাকেজিং, পরিবহন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, বাজারজাতকরণসহ অনেক খাত। ফলে কৃষকের কাজ সচল থাকলে এসব খাতেও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের গ্রামের মানুষদের একটা বড় অংশ জীবিকার জন্য কৃষির ওপর নির্ভরশীল। কৃষিতে বিনিয়োগ বাড়ানো মানেই বেকারত্ব কমানো এবং মানুষের জীবনমান উন্নত করা।
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রত্যক্ষ অবদান: বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (GDP) বড় একটি অংশ আসে কৃষি খাত থেকে। কৃষকের আয় বাড়লে তার প্রভাব পড়ে উৎপাদনে, রপ্তানিতে ও স্থানীয় বাজারে। বিশেষ করে খাদ্যশস্য, মাছ, শাকসবজি ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন অর্থনীতিকে সরাসরি প্রভাবিত করে। অর্থাৎ কৃষকের উন্নতি মানে অর্থনীতির সরাসরি প্রবৃদ্ধি।
কৃষিপণ্য রপ্তানি একটি বৈদেশিক মুদ্রার উৎস: বাংলাদেশ প্রতিবছর বিপুল পরিমাণে কৃষিপণ্য রপ্তানি করে—বিশেষ করে চা, পাট ও পাটজাত পণ্য, তাজা সবজি, ফল, মাছ ইত্যাদি। কৃষক ভালো থাকলে এসব পণ্যের মান ও পরিমাণ দুটোই বাড়ে, ফলে রপ্তানি আয়ও বাড়ে। ২০২৩ সালে কৃষিভিত্তিক রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছে। এই প্রবাহ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে স্থিতিশীল রাখে, আমদানি সক্ষমতা বাড়ায় এবং টাকার মান রক্ষা করে।
দারিদ্র্য হ্রাস ও সামাজিক স্থিতিশীলতা: গ্রামীণ দরিদ্র মানুষের প্রধান জীবিকা কৃষি। কৃষক ভালো থাকলে তার আয় বাড়ে, সন্তানদের শিক্ষায় ব্যয় করে, চিকিৎসা নেয়, গৃহনির্মাণ করে—ফলে পরিবার ও সমাজের জীবনমান উন্নত হয়। এর পাশাপাশি সামাজিক স্থিতিশীলতাও বজায় থাকে। কৃষক যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় আয় হারায়, তাহলে চুরি, ঋণগ্রস্ততা, অভিবাসন কিংবা আত্মহত্যার মতো চিত্র দেখা দেয়—যা সামগ্রিকভাবে দেশের জন্য হুমকি।
শিল্প ও কৃষি—একে অপরের পরিপূরক: একজন কৃষক উৎপাদন করলেই তা বাজারে পৌঁছানোর আগে কতগুলো ধাপ পেরোতে হয়— যেমন: বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, পরিবহন সেবা, প্যাকেজিং কোম্পানি, বাজারজাতকরণ সংস্থা, প্রক্রিয়াকরণ শিল্প। এই প্রত্যেকটি ধাপে জড়িত হাজার হাজার মানুষ এবং তা তৈরি করে বিশাল অর্থনৈতিক মূল্য। তাই কৃষক ভালো থাকলে শুধু কৃষি খাত নয়, গোটা শিল্প ও সেবা খাত সচল থাকে। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ কোনও না কোনওভাবে কৃষির ওপর নির্ভর করে—কেউ সরাসরি জমিতে চাষ করে, আবার কেউ কৃষির সঙ্গে জড়িত নানা কাজের মাধ্যমে জীবিকা চালায়।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে কৃষকদের চ্যালেঞ্জ: আজকের বাংলাদেশে কৃষক হওয়া মানে শুধু ফসল ফলানো নয় বরং প্রতিদিন নতুন নতুন বাঁধার সঙ্গে লড়াই করা। একদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অন্যদিকে বাজারের অনিশ্চয়তা—এই দুইয়ের মাঝে দাঁড়িয়ে একজন কৃষককে টিকিয়ে রাখতে হয় নিজের জীবন আর দেশের খাদ্যনিরাপত্তা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কৃষি ব্যবস্থায় পরিবর্তন এলেও কৃষকের সমস্যাগুলো রয়ে গেছে প্রায় অপরিবর্তিত। বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে আরও জটিল হয়েছে। নিচে বর্তমান প্রেক্ষাপটে কৃষকদের প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরার প্রয়াস চালানো হলো:
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব: বর্তমানে কৃষকের সবচেয়ে বড় শত্রু হলো প্রকৃতির অস্থিরতা। আগে যেখানে নির্দিষ্ট সময়মতো বৃষ্টি হতো, এখন সেখানে হয় অতিবৃষ্টি, নয়তো দীর্ঘ খরা। ঘূর্ণিঝড়, শিলাবৃষ্টি, হঠাৎ বন্যা—এসব দুর্যোগ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে চাষের মৌসুম ও পদ্ধতি বদলে যাচ্ছে, কিন্তু অধিকাংশ কৃষকের কাছে নেই সেই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার সামর্থ্য।
বাজার ব্যবস্থার দুর্বলতা: একজন কৃষক ফসল ফলিয়ে বাজারে নিয়ে গিয়েও অনেক সময় ন্যায্য দাম পান না। মধ্যস্বত্বভোগী বা দালালরা তাদের কাছ থেকে পণ্য কিনে বেশি দামে বিক্রি করে, অথচ আসল উৎপাদনকারী কৃষক পড়ে থাকেন লোকসানে। কৃষিপণ্যের দাম নির্ধারণে স্বচ্ছতা ও স্থিতিশীলতা না থাকায় কৃষকরা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করতে পারেন না।
প্রযুক্তির অভাব ও তথ্য-প্রযুক্তি থেকে পিছিয়ে পড়া:অধিকাংশ কৃষকের হাতেই নেই আধুনিক যন্ত্রপাতি, উন্নত জাতের বীজ, বা সঠিক সময় ও পরিমাণ অনুযায়ী সার-কীটনাশক ব্যবহারের জ্ঞান। ফলে তারা উৎপাদনে পিছিয়ে পড়েন। বর্তমানে যেসব আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি যেমন: হাইব্রিড চাষ, ড্রিপ ইরিগেশন, জৈব প্রযুক্তি ইত্যাদি প্রচলিত হয়েছে, সেগুলো ব্যবহার করতে পারলে কৃষক অনেক বেশি লাভবান হতে পারতেন।
মূলধনের ঘাটতি: বেশিরভাগ কৃষকই ক্ষুদ্র বা প্রান্তিক পর্যায়ের, যাদের হাতে চাষাবাদের শুরুতে প্রয়োজনীয় টাকা থাকে না। বীজ, সার, কীটনাশক, সেচ—সবকিছুতেই খরচ বেশি। কিন্তু আর্থিক সহায়তা বা সহজ শর্তে ঋণ পাওয়া তাদের জন্য কঠিন। ফলে অনেক সময় তারা মহাজন বা এনজিও থেকে উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে চাষ করেন, যা পরে তাদের আরও দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দেয়।
শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ঘাটতি: অনেক কৃষক আধুনিক কৃষিপদ্ধতি সম্পর্কে অবগত নন। কারও মধ্যে শিক্ষার অভাব, কারও বা পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের সুযোগ নেই। ফলে তারা প্রথাগত পদ্ধতিতে চাষাবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন। যা কখনও কখনও কম উৎপাদন বা বেশি ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ভূমির নিরাপত্তা ও জমির মালিকানা নিয়ে সমস্যা:অনেক কৃষকই নিজেদের নামে জমির খতিয়ান বা দলিল পান না, অথবা অন্যের জমিতে চাষ করেন। এই অনিশ্চয়তা তাদের বিনিয়োগের আগ্রহ কমিয়ে দেয়। কারণ জমির দখল হারানোর ভয় থেকেই যায়। ভূমি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা না থাকলে কৃষকের উন্নতি ব্যাহত হয়।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতির পর ক্ষতিপূরণ নেই: বন্যা বা ঘূর্ণিঝড়ের কারণে অনেক কৃষক বছরে এক বা একাধিকবার ফসল হারান। কিন্তু ক্ষতির পর তাদের জন্য পর্যাপ্ত সরকারি সহায়তা বা বীমা সুবিধা থাকে না। ফলে তারা আর্থিকভাবে একেবারে ভেঙে পড়েন।
বর্তমান সময়ে একজন কৃষক শুধু নিজের জন্য নয়, গোটা জাতির খাদ্যনিরাপত্তার জন্য সংগ্রাম করছে। কিন্তু তার সামনে রয়েছে একের পর এক চ্যালেঞ্জ—প্রাকৃতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক। এসব সমস্যা দূর না হলে শুধু কৃষক নয়, দেশের অর্থনীতিও ঝুঁকির মুখে পড়বে। তাই কৃষকের সমস্যা সমাধানে টেকসই নীতি, প্রযুক্তির ব্যবহার, সহজ শর্তে ঋণ এবং ন্যায্য বাজার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা জরুরি।
করণীয়: প্রবাদ আছে- “কৃষক এগোলে দেশও এগোয়”। কৃষক শুধু একজন চাষী নন, তিনি হচ্ছেন আমাদের খাদ্যনিরাপত্তার প্রহরী। তাই কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো মানেই দেশের ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত করা। বর্তমান সময়ে উন্নত বীজ, সার, প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণের অভাবে কৃষকের উৎপাদনশীলতা কমে যাচ্ছে। আবার বাজারে ন্যায্য দাম না পাওয়ায় অনেকেই বাধ্য হয়ে কৃষি পেশা ত্যাগ করছেন। এই অবস্থা চলতে থাকলে শুধু কৃষি নয়, দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই কৃষকদের উন্নয়নে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া এখন জরুরি-
ন্যায্য দামের নিশ্চয়তা: কৃষিপণ্যের সরকারিভাবে সংগ্রহ বাড়াতে হবে এবং দামের ক্ষেত্রে কৃষকদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে। মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করে সরাসরি কৃষক-ভোক্তা সংযোগ তৈরি করতে হবে। যেন কৃষক তাঁদের উৎপাদনের প্রকৃত মূল্য পান।
আধুনিক প্রযুক্তি সহজলভ্য করা: কৃষকদের আধুনিক যন্ত্রপাতি, উন্নত জাতের বীজ ও প্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণ দিতে হবে। স্মার্ট কৃষি গড়ে তুলতে স্বল্পমূল্যে প্রযুক্তি সরবরাহ ও ইন্টারনেট-ভিত্তিক পরামর্শব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি।
কৃষিঋণ সহজ ও সাশ্রয়ী করা: সুদমুক্ত বা স্বল্প সুদে সহজ শর্তে কৃষিঋণ নিশ্চিত করতে হবে। ব্যাংক ও এনজিও পর্যায়ে এমন ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে কৃষকরা দালাল বা মহাজনের দয়া নয়, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সহজে মূলধন পায়
জলবায়ু সহনশীল কৃষিনীতি: প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে কৃষকদের রক্ষা করতে উন্নত জাতের ফসল, পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা, সঠিক আবহাওয়ার পূর্বাভাস এবং দুর্যোগ-পরবর্তী সহযোগিতা নিশ্চিত করা দরকার।
কৃষকদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা: কৃষককে কেবল শ্রমিক নয়, বরং দেশের খাদ্যযোগানদাতা ও অর্থনীতির নায়ক হিসেবে দেখতে শিখতে হবে। তাঁদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও নিরাপদ জীবনযাপনের ব্যবস্থা করতে হবে। সামাজিকভাবে কৃষকদের সম্মানিত করার পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন।
কৃষকদের সমস্যা শুধু কৃষকের একার সমস্যা নয়—এটা পুরো জাতির ভবিষ্যতের সঙ্গে জড়িত। তাই কৃষকের উন্নয়নে বিনিয়োগ মানেই দেশের অগ্রগতিতে বিনিয়োগ। যদি আমরা আজ কৃষকের পাশে দাঁড়াই, তবে আগামীকাল কৃষকই আমাদের একটি খাদ্যনিরাপদ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেবে।
কৃষক শুধুই খাদ্য উৎপাদক নয় বরং অর্থনীতির মৌলিক চালিকাশক্তি। কারণ কৃষিই আমাদের খাদ্য, কর্মসংস্থান, রপ্তানি এবং শিল্পের মেরুদণ্ড। কৃষকের শ্রমে দেশের চালচিত্র গঠিত হয়, আর তার উৎপাদনে বাজার বেঁচে থাকে। কিন্তু কৃষকের মুখে হাসি ফোটাতে না পারলে টেকসই উন্নয়ন কল্পনাও অসম্ভব। তাই কৃষকের কল্যাণে বিনিয়োগ মানেই দেশের ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত করা। খাদ্য নিরাপত্তা, দারিদ্র্য হ্রাস এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য কৃষিকে কেন্দ্র করে ভাবতে হবে এবং কৃষকদের প্রাপ্য সম্মান ও সহায়তা দিতে হবে। কারণ মাটির মানুষ ভালো থাকলেই দেশের মাটিতে সম্ভাবনার নতুন বীজ বোনে। তাই কৃষকের মুখে হাসি মানেই দেশের অর্থনীতির বুকে শক্ত ভিত্তি। এক কথায়—“কৃষকের হাসি মানেই দেশের অগ্রগতি”।