দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডেড বিস্কুট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে তাদের আয়ে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের কথা জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির মতে, দক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিক্রি বৃদ্ধির উদ্যোগই এই আয় বৃদ্ধির পেছনে প্রধান কারণ।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের মোট আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা, যেখানে আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির আয় ছিল ১ হাজার ৯৪১ কোটি টাকা। অর্থাৎ বছরে বছরে আয় বেড়েছে প্রায় ২০২ কোটি টাকা।
অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা ১ দশমিক ১১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫৯ দশমিক ২৯ কোটি টাকায়। পাশাপাশি শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৯৭ পয়সা যা বিনিয়োগকারীদের জন্য ইতিবাচক একটি সংকেত হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
তবে তৃতীয় প্রান্তিকে অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে মার্চ সময়কালে প্রতিষ্ঠানটির সামগ্রিক আয় কিছুটা কমে গেছে। এ সময় আয় ০ দশমিক ৪২ শতাংশ হ্রাস পেয়ে দাঁড়ায় ৬৫২ কোটি টাকায়। যদিও একই সময়ে মুনাফা ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ কোটি টাকায়, যা ইঙ্গিত দেয় খরচ নিয়ন্ত্রণ ও দক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ মুনাফা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
রোববার, ৪ মে তারিখে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম ০ দশমিক ৪৬ শতাংশ কমে লেনদেন হয়েছে ১৫১ টাকা ৪০ পয়সায়। বাজারে শেয়ারদরের এই সামান্য পতন সত্ত্বেও কোম্পানির আয় ও মুনাফার ইতিবাচক প্রবণতা বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধরে রাখতে সহায়ক হতে পারে।
এর আগে প্রতিষ্ঠানটি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দেয় যেখানে তার আগের বছর তারা দিয়েছিল ৬০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ। লভ্যাংশ প্রদানে এই পার্থক্য বিনিয়োগকারীদের জন্য কিছুটা অস্বস্তির কারণ হতে পারে তবে প্রতিষ্ঠানটির চলতি আয়ের ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়।