মার্ক কার্নি, কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর, তার নেতৃত্বে কানাডা কীভাবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনবে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তিনি কানাডার স্বার্থ রক্ষায় নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত। বিশেষ করে ট্রাম্পের একতরফা বাণিজ্য নীতি এবং কানাডার জন্য তার যে ক্ষতিকর সিদ্ধান্ত ছিল, সেগুলোর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তিনি কানাডার অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করবেন।
কার্নির নির্বাচনী প্রচারণা ছিল অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ। নির্বাচনের শেষ দিনে তিনি তার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি বিপর্যয় সৃষ্টি করেছেন। তিনি আমেরিকার নেতৃত্বকে শেষ করে দিয়েছেন।” তিনি আরও বলেন, “আমরা নতুন এক বাস্তবতা তৈরি করব এবং এই বাণিজ্য যুদ্ধেও আমাদের জয় নিশ্চিত হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, কার্নির নেতৃত্ব কানাডার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে। তার লক্ষ্য হলো যুক্তরাষ্ট্রের ওপর কানাডার নির্ভরশীলতা কমানো এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে শক্তিশালী বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তোলা। ২০২৫ সালে নির্বাচনের পর, কার্নি নিশ্চিত করেছেন যে তিনি কানাডার অর্থনীতিকে আবারও শক্তিশালী করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেবেন।
এ নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে, কার্নি তার বাণিজ্যিক কৌশল এবং কানাডার স্বার্থ রক্ষার জন্য খুবই দক্ষ নেতা। তার নেতৃত্বে কানাডা তার নিজস্ব পরিপূরক অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একতরফা বাণিজ্য নীতি, বিশেষ করে কানাডার ওপর চাপিয়ে দেওয়া ট্যারিফের কারণে নির্বাচনী ফলাফলে পরিবর্তন এসেছে।
এদিকে, কার্নি বলেছেন যে কানাডা তার বাণিজ্যিক নীতি পরিবর্তন করে ইউরোপ এবং অন্যান্য দেশে নতুন চুক্তি প্রতিষ্ঠা করবে। “আমরা শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে পারি না। আমাদের ইউরোপ এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে নতুন বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে,” তিনি বলেন।
এভাবে, কার্নি নতুন একটি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কানাডাকে নেতৃত্ব দিতে চান, যেখানে দেশের অর্থনীতি আন্তর্জাতিক বাজারে আরও শক্তিশালী হবে। তার এই পদক্ষেপের মাধ্যমে কানাডা শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীলতা কমাবে না, বরং দেশের স্বাধীনতা এবং অর্থনৈতিক বিকাশও নিশ্চিত করবে। সূত্র:বিবিসি