নারায়ণগঞ্জ ভিত্তিক একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ বিনিয়োগকারীদের লক্ষ্য করে প্রতারণার সঙ্গে জড়িত বলে শনাক্ত করেছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুর রহমান।
গতকাল ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতারকরা উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে ফাঁদ পেতে কাজ করছে।
ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, “স্টক এক্সচেঞ্জের লাইসেন্সপ্রাপ্ত স্টক ব্রোকার, স্টক ডিলার ও মোবাইল অ্যাপস ছাড়া শেয়ারবাজারে লেনদেন করার কোনো সুযোগ নেই। তাই কারও প্রলোভনে পড়ে অন্য কোনোভাবে লেনদেন না করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করছি।” তিনি আরো বলেন, “একটি চক্র হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুকে বিএসইসি এবং উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের লোগো ও ঠিকানা ব্যবহার করছে। এটি সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। চক্রটি দ্রুত মুনাফা দেখানোর প্রলোভনে অনেকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।”
প্রতারণা রোধে খিলক্ষেত থানায় গত ৩ আগস্ট অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের সচেতন করতে সব স্টেকহোল্ডার এবং ডিএসই ভবনের অফিসগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তার জন্য বিএসইসিকেও চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের সচেতন করার উদ্দেশ্যে আবার সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
আসাদুর রহমান বলেন, “শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ছে। এর মধ্যে প্রতারক চক্রের কারণে বাজারের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে।” তিনি প্রতারণাকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “যারা সাধারণ মানুষের টাকা নিয়েছেন, তা ফেরত দিতে হবে। বিনিয়োগকারীদেরও এ ধরনের লেনদেন করার আগে ডিএসই, সিএসই ও বিএসইসির ওয়েবসাইটে দেওয়া নাম্বারে ফোন দিয়ে যাচাই করার অনুরোধ করছি।”
প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে কীভাবে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা আবারো অস্বাভাবিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে বিপজ্জনক ফাঁদে ফেলা হচ্ছে। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ও কিছু মোবাইল অ্যাপ তথাকথিত বিনিয়োগ প্ল্যাটফর্মের শেয়ার অফার করছে। তারা মাত্র ১৫ দিনে ৫০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ মুনাফার নিশ্চয়তা দিচ্ছে।

