Close Menu
Citizens VoiceCitizens Voice
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp Telegram
    Citizens VoiceCitizens Voice Tue, Dec 23, 2025
    • প্রথমপাতা
    • অর্থনীতি
    • বাণিজ্য
    • ব্যাংক
    • পুঁজিবাজার
    • বিমা
    • কর্পোরেট
    • বাংলাদেশ
    • আন্তর্জাতিক
    • আইন
    • অপরাধ
    • মতামত
    • অন্যান্য
      • খেলা
      • শিক্ষা
      • স্বাস্থ্য
      • প্রযুক্তি
      • ধর্ম
      • বিনোদন
      • সাহিত্য
      • ভিডিও
    Citizens VoiceCitizens Voice
    Home » ব্যাংকিং সমস্যায় বিপর্যস্ত পোশাক খাতের ৪০০ কারখানার উৎপাদন বন্ধ
    অর্থনীতি

    ব্যাংকিং সমস্যায় বিপর্যস্ত পোশাক খাতের ৪০০ কারখানার উৎপাদন বন্ধ

    কাজি হেলালSeptember 17, 2025Updated:September 27, 2025
    Facebook Twitter Email Telegram WhatsApp Copy Link
    পোশাক
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Telegram WhatsApp Email Copy Link

    গত কয়েক সপ্তাহে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক (RMG) খাতে তীব্র ঝটকা লেগেছে। পর্যাপ্ত ব্যাংকিং সেবা ও তরলতার অভাবে আনুমানিক ৪০০টি কারখানা সাময়িকভাবে উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (BGMEA) জানিয়েছে, সরকারের নীতি সহায়তা থাকলে এই ইউনিটগুলো পুনরায় চালু করা সম্ভব এবং প্রায় ১ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান পুনঃস্থাপন করা যায়।

    রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮০% আসে এই খাত থেকে এবং এটি সরাসরি ও পরোক্ষভাবে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবিকা নিশ্চিত করে। ব্যাংকিং সমস্যার কারণে উৎপাদন বন্ধ হওয়া শুধুমাত্র আর্থিক ক্ষতি নয়, এটি দেশের রপ্তানিমুখী অর্থনীতির দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার জন্যও সতর্কবার্তা বহন করছে। উৎপাদন বন্ধের ফলে শ্রমিকদের বেতন বন্ধ হওয়া, কর্মসংস্থান সংকট এবং আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের আস্থা কমার মতো ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।

    রাজধানীর উত্তরায় BGMEA কমপ্লেক্সে ব্যাংকিং সমস্যা নিয়ে সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রায় ৭০টি সদস্য প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। আলোচনায় খেলাপি ঋণ নীতিমালা, ফোর্সড লোন, মামলার জটিলতা, এক্সিট পলিসি এবং ছোট ও মাঝারি কারখানার জন্য নীতি সহায়তার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সভা শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়।

    ব্যাংকিং জটিলতায় পোশাক শিল্প উদ্যোক্তাদের দাবি:বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা ব্যাংকিং সংকট নিরসনে নীতিমালার সংস্কারের জোরালো দাবি জানিয়েছেন। সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরায় BGMEA কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক সভায় সদস্যরা জানান, বর্তমান খেলাপি ঋণ নীতিমালা ব্যবসায়ীদের জন্য কার্যকর নয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলের সর্বোচ্চ সময়সীমা ৩ বছর, তবে উদ্যোক্তারা তা ১০ বছর করার প্রস্তাব দেন। তাদের মতে, বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে এত স্বল্প সময়ে ঋণ পরিশোধ সম্ভব নয়। একইসঙ্গে ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে ডাউন পেমেন্ট কমানোর দাবি তোলেন তারা।

    সভায় উদ্যোক্তারা অভিযোগ করেন, অনেক প্রতিষ্ঠান অযৌক্তিক কারণে ফোর্সড লোনের শিকার হচ্ছে। এর ফলে চেক ডিজঅনার মামলা ও অর্থঋণ মামলার মতো আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়তে হচ্ছে, যা উৎপাদন ও রপ্তানি কার্যক্রমকে আরও ব্যাহত করছে। তারা BGMEA-কে এই বিষয়ে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান।

    এছাড়া উদ্যোক্তারা বলেন, একটি সহনশীল এক্সিট পলিসি জরুরি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তারা সম্মানজনকভাবে ব্যবসা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন। তারা অভিযোগ করেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি সহায়তা মূলতঃ বড় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের দিকে কেন্দ্রীভূত, অথচ ছোট ও মাঝারি কারখানাগুলো মারাত্মক সংকটে থেকেও কোনো সুবিধা পাচ্ছে না। তাই এই খাতগুলোকেও সমানভাবে সহায়তার আওতায় আনার দাবি তোলেন তারা।

    সভায় দীর্ঘদিন ধরে সমস্যাগ্রস্ত ৭৭টি তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠানের টেকসই সমাধানের জন্যও বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। BGMEA সভাপতি মাহমুদ হাসান খান সভায় উপস্থিত উদ্যোক্তাদের আশ্বস্ত করে বলেন, উত্থাপিত সব বিষয় দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় তোলা হবে। পাশাপাশি তিনি ব্যাংকিং সমস্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কারখানাগুলোকে তাদের সমস্যাগুলো লিখিত আকারে BGMEA-কে অবহিত করার আহ্বান জানান।

    আধুনিক অর্থনীতিতে ব্যাংকিং ব্যবস্থা শুধু একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান নয়, বরং সমগ্র অর্থনীতির সঞ্চালনশক্তি। ব্যাংকের মূল কাজ হলো মানুষের সঞ্চয় সংগ্রহ করা, সেই সঞ্চয়কে নিরাপদে সংরক্ষণ করা এবং বিনিয়োগযোগ্য পুঁজিতে রূপান্তরিত করা। এর মাধ্যমে শিল্প, কৃষি ও বাণিজ্যসহ বিভিন্ন খাতে প্রয়োজনীয় অর্থ সরবরাহ সম্ভব হয়, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।

    ব্যাংক জনগণের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করে, আবার সেই অর্থ ঋণ আকারে ব্যক্তি, উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করে থাকে। ফলে ব্যবসায়িক কার্যক্রম প্রসারিত হয়, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় এবং অর্থনীতির চাকা সচল থাকে। এছাড়া আন্তর্জাতিক লেনদেন, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় এবং রপ্তানি-আমদানি সহজ করতেও ব্যাংকের ভূমিকা অপরিহার্য। বিশেষ করে বৈদেশিক বাণিজ্যনির্ভর দেশের জন্য এটি অর্থনীতির রক্তসঞ্চালনের মতো।

    বর্তমানে প্রযুক্তির অগ্রগতি ব্যাংকিং খাতকে আরও গতিশীল করেছে। অনলাইন ব্যাংকিং, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস, ই-ওয়ালেট ও ডিজিটাল লেনদেনের ফলে গ্রাহকরা এখন দ্রুত ও নিরাপদে আর্থিক কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারছেন। একই সঙ্গে ডেটা অ্যানালিটিক্সের মাধ্যমে গ্রাহকের আচরণ, বাজারের প্রবণতা এবং সম্ভাব্য ঝুঁকি বিশ্লেষণ করে ব্যাংকগুলো উন্নত সিদ্ধান্ত নিতে পারছে। এতে আর্থিক ব্যবস্থাপনা আরও কার্যকর হচ্ছে।

    ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা প্রদানে ব্যাংকের ভূমিকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। গ্রাহকের আমানত সুরক্ষিত রাখা থেকে শুরু করে ব্যবসায়িক কার্যক্রমের আর্থিক ঝুঁকি নিরূপণ, সব ক্ষেত্রেই ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই পুরো ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি করে প্রতিটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেমন: বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঠিক নীতি ও পর্যবেক্ষণ একটি সুস্থ ও স্থিতিশীল ব্যাংকিং খাত নিশ্চিত করে।

    সব মিলিয়ে ব্যাংকিং ব্যবস্থা কেবল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে সহজতরই করছে না, বরং দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতায় সরাসরি অবদান রাখছে। অর্থনীতির বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে যেখানে ডিজিটাল লেনদেন, বৈদেশিক মুদ্রা প্রবাহ এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ভূমিকা ক্রমশঃ বাড়ছে, সেখানে একটি শক্তিশালী ও স্বচ্ছ ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রতিটি দেশের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

    সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপ ইতিবাচক কিন্তু অপ্রতুল: বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত দীর্ঘদিন ধরেই নানা সমস্যায় জর্জরিত। খেলাপি ঋণের উর্ধ্বগতি, তারল্য সংকট, রাজনৈতিক প্রভাব ও দুর্বল ব্যবস্থাপনা, সব মিলিয়ে এই খাতের প্রতি আস্থা ক্রমশঃ কমছে। সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক পরিস্থিতি সামাল দিতে কিছু পদক্ষেপ নিলেও, সেগুলো সামগ্রিক সংকট মোকাবিলায় কার্যকর হচ্ছে না।

    ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখা যায়, দুর্বল ব্যাংকগুলোর একীভূতকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা দীর্ঘমেয়াদে খাতের স্থিতিশীলতায় সহায়ক হতে পারে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে সুদের হার বাজারভিত্তিক করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। এর ফলে মুদ্রানীতিতে কিছুটা স্বচ্ছতা এসেছে, যদিও ব্যবসায়ীরা উচ্চ সুদের চাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক নগদ জমা সংরক্ষণের হার (সিআরআর) কমিয়েছে, যাতে ব্যাংকগুলোর হাতে তারল্য কিছুটা বাড়ে। ভবিষ্যতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সাংবিধানিক মর্যাদা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যা এর স্বাধীনতা ও কার্যকারিতা বাড়াতে পারে।

    তবে এসব উদ্যোগ সত্ত্বেও বাস্তবতা হলো, খেলাপি ঋণের বোঝা ক্রমেই বাড়ছে। বর্তমানে অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ প্রায় ৪০ শতাংশে পৌঁছেছে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, যা অর্থনীতির জন্য মারাত্মক ঝুঁকি। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও প্রশাসনিক অদক্ষতা বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতাকে সীমিত করছে। এর ফলে অর্থনীতি যেমন চাপের মুখে পড়ছে, তেমনি ব্যাংকগুলোর অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা কাটানোও কঠিন হয়ে উঠছে।

    এদিকে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার বাড়ানোর পরও বাজারে তারল্য সংকট রয়ে গেছে। ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা কমছে, ব্যবসায়ীরা ঋণ পেতে হিমশিম খাচ্ছেন, আর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। এসব কারণে অর্থনীতির পুনরুদ্ধার কার্যত বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে।

    অর্থনীতিবিদদের মতে, শুধু ঘোষণা নয়, বাস্তবায়ন ও কার্যকর নজরদারিই এখন সবচেয়ে জরুরি। খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংক ব্যবস্থার স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত কার্যক্রম ছাড়া এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব নয়। সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপ ইতিবাচক হলেও তা বর্তমান বাস্তবতায় অপ্রতুল। নীতিগত সংস্কার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হলে তবেই ব্যাংকিং খাত অর্থনীতিকে পুনরায় ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করতে পারবে।

    আন্তর্জাতিক অর্ডার ও ব্র্যান্ডের আস্থার ঝুঁকি:বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত বর্তমানে একাধিক জটিল সংকটে জর্জরিত। ক্রমবর্ধমান খেলাপি ঋণ, মূলধন ও তারল্যের ঘাটতি, দুর্বল কর্পোরেট সুশাসন এবং রাজনৈতিক প্রভাব, সব মিলিয়ে এই খাতের প্রতি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আস্থা নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৫ সালে অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যা ব্যাংকগুলোর আর্থিক স্থিতিশীলতাকে দুর্বল করছে এবং অর্থনীতির জন্য একটি গুরুতর হুমকি হয়ে উঠেছে।

    মূলধন ঘাটতি ও তারল্য সংকট ব্যাংকগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে। অনেক ব্যাংকেই পর্যাপ্ত মূলধন সংরক্ষণ নেই, আবার তারল্যের ঘাটতির কারণে ঋণ বিতরণ ও গ্রাহকসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। এর সঙ্গে দুর্বল সুশাসন এবং রাজনৈতিক প্রভাব যুক্ত হওয়ায় ব্যাংকগুলো স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হচ্ছে না, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থাকে আরও কমিয়ে দিচ্ছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অদক্ষতা এই সমস্যাকে বাড়িয়ে তুলছে, কারণ পর্যাপ্ত তদারকি ও জবাবদিহিতা না থাকায় ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা দুর্বল হয়ে পড়ছে।

    ব্যাংকিং সমস্যায় বিপর্যস্ত তৈরি পোশাক খাতের দ্রুত সমাধানের সুপারিশ: বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত ব্যাংকিং সমস্যার কারণে বিপর্যস্ত। এই সংকট নিরসনে উদ্যোক্তারা একাধিক সুপারিশ করেছেন।
    যেমন: খেলাপি ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ৩ বছর থেকে ১০ বছর বাড়ানো। ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে ডাউন পেমেন্ট কমানো। সহনশীল এক্সিট নীতিমালা প্রণয়ন করা।ফোর্সড লোন এবং অর্থঋণ মামলার জটিলতা কমানো।
    সংকটাপন্ন ব্যাংকগুলোর স্থিতিশীলতার জন্য তারল্য সহায়তা প্রদান। সুবিধাগুলো যেন কেবল বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সীমিত না থাকে, ছোট ও মাঝারি কারখানাগুলোও সমানভাবে উপকৃত হয়। দীর্ঘদিন সমস্যায় থাকা ৭৭টি প্রতিষ্ঠানকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া।

    বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত দেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ ভরসা। এটি রপ্তানি আয়ের প্রধান উৎস এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করে। ব্যাংকিং সমস্যার কারণে খাতটি বর্তমানে গুরুতর সংকটে পড়েছে। ৪০০টির বেশি কারখানা উৎপাদন বন্ধ রাখায় শুধু আর্থিক ক্ষতি নয়, শ্রমিকদের জীবিকা, স্থানীয় অর্থনীতি এবং আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের আস্থা সবই প্রভাবিত হচ্ছে।

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সংকট কেবল আর্থিক সমস্যার প্রতিফলন নয়, এটি বাংলাদেশের রপ্তানিমুখী অর্থনীতির স্থিতিশীলতার জন্য একটি সতর্কবার্তা। তাই নীতি সংস্কার ছাড়া খাতকে দ্রুত পুনরায় সচল করা সম্ভব নয়। খেলাপি ঋণের মেয়াদ বাড়ানো, সহনশীল এক্সিট নীতিমালা প্রণয়ন, ফোর্সড লোনের জটিলতা দূর করা এবং ছোট ও মাঝারি কারখানাগুলোকে সহায়তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। অতএব পর্যবেক্ষণে দেখা যায় সরকার, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং শিল্প উদ্যোক্তাদের সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে সময়োপযোগী ও কার্যকর সমাধান গ্রহণ করাই একমাত্র পথ। যথাযথ নীতি ও সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশ আবার তার তৈরি পোশাক খাতকে শক্তিশালী করে আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে, যা দেশের অর্থনীতিকে পুনরায় গতিশীল ও স্থিতিশীল করবে।

    Share. Facebook Twitter LinkedIn Email Telegram WhatsApp Copy Link

    সম্পর্কিত সংবাদ

    অর্থনীতি

    বিশ্বের শীর্ষ ১০ ই-কমার্স কোম্পানি

    December 22, 2025
    মতামত

    মূল্যস্ফীতি ও বিনিয়োগে ধীরগতি ঝুঁকি বাড়াচ্ছে

    December 22, 2025
    অর্থনীতি

    রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ানো হচ্ছে

    December 22, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    সর্বাধিক পঠিত

    সাউথইস্ট ব্যাংকে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাত

    আইন আদালত October 7, 2025

    ক্রেতারা ভারত-চীন ছাড়ছে, বাংলাদেশ পাচ্ছে অর্ডার

    অর্থনীতি August 15, 2025

    সব ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপী নয়

    মতামত January 13, 2025

    বরিশালের উন্নয়ন বঞ্চনা: শিল্প, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে নেই অগ্রগতি

    মতামত April 22, 2025
    সংযুক্ত থাকুন
    • Facebook
    • Twitter
    • Instagram
    • YouTube
    • Telegram

    EMAIL US

    contact@citizensvoicebd.com

    FOLLOW US

    Facebook YouTube X (Twitter) LinkedIn
    • About Us
    • Contact Us
    • Terms & Conditions
    • Comment Policy
    • Advertisement
    • About Us
    • Contact Us
    • Terms & Conditions
    • Comment Policy
    • Advertisement

    WhatsAppp

    01339-517418

    Copyright © 2025 Citizens Voice All rights reserved

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.