বাংলাদেশে প্রতি ২৫ বছর পরপর ভূমি জরিপ হয়ে থাকে। এবার শুরু হতে যাওয়া জরিপ সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার ভূমি, অবকাঠামো ও পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ডিজিটাইজড ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে ও সমন্বিত ভূমি তথ্য ব্যবস্থাপনা সিস্টেম বাস্তবায়ন নিয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ চুক্তির মাধ্যমে দেশে ভূমি সেবায় নতুন দিগন্তের সূচনা হলো।
আজ বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ায় আয়োজিত ২০২৫ কে-জিও ফেস্টে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমদ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ভূমি, অবকাঠামো ও পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মি. লি সাং কিয়ং অংশ নেন।
ভূমি মন্ত্রণালয় জানায়, এই এমওইউর ফলে সমগ্র বাংলাদেশে ডিজিটাল ভূমি জরিপ পরিচালনা এবং সমন্বিত তথ্য ব্যবস্থাপনা সিস্টেম চালু করার পথ তৈরি হলো। এর মাধ্যমে দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা শতভাগ ডিজিটালাইজেশনের দিকে আরও এগিয়ে গেল। নতুন এই জরিপ মূলত আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক ডিজিটাল কার্যক্রম। এর মাধ্যমে জমির মালিকানা যাচাই, রেকর্ড সংরক্ষণ এবং ভূমি ব্যবস্থাপনাকে স্বচ্ছ ও জনবান্ধব করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভূমি মন্ত্রণালয় বলছে, আধুনিক ডিজিটাল পদ্ধতিতে জমি সংক্রান্ত সব তথ্য সংরক্ষণ করলে জমি নিয়ে বিরোধ কমবে। দলিল ও রেকর্ডের সঠিকতা নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি অটোমেশনের মাধ্যমে নাগরিক ভোগান্তিও কমে আসবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে জমির পরিমাণ, অবস্থান, ব্যবহারযোগ্যতা এবং শ্রেণিবিন্যাস সম্পর্কিত নির্ভুল ও হালনাগাদ তথ্য সহজে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।