দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার সব সূচক উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। সেদিন যেসব সিকিউরিটিজের দর কমেছে তার চেয়ে বেশি সংখ্যক সিকিউরিটিজের দর বেড়েছে। একই সঙ্গে লেনদেনও আগের দিনের তুলনায় বেড়ে ৭০০ কোটি টাকার ঘর পেরিয়েছে।
বাজার বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪১৫ পয়েন্টে। বুধবার এই সূচক ছিল ৫ হাজার ৩৯২ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৬ পয়েন্ট, অবস্থান নিয়েছে ১ হাজার ১৭১ পয়েন্টে। আর বাছাই করা ৩০ কোম্পানির শেয়ারের সূচক ডিএসই-৩০ বেড়েছে ১২ পয়েন্ট, দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১০৩ পয়েন্টে। আগের দিন এই সূচক দুটি যথাক্রমে ছিল ১ হাজার ১৬৬ ও ২ হাজার ৯১ পয়েন্টে।
সূচক উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে সিমেন্ট খাত। এরপর অবদান রেখেছে জীবন বিমা ও ব্যাংক খাত। পাশাপাশি ওষুধ ও রসায়ন, বিবিধ এবং সাধারণ বিমা খাতও সূচক বাড়াতে সহায়তা করেছে। ডিএসইতে গতকাল বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে মোট ৭০৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকার। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৭৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ১৩২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। সেদিন মোট ৩৯৮ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৫টির, কমেছে ১৫৭টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৬৬টির।
লেনদেনের শীর্ষে ছিল সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেড। কোম্পানিটির মোট লেনদেন হয়েছে ৩৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকার। আগের দিন শীর্ষে ছিল ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড, যার লেনদেন ছিল ২৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকার। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বৃহস্পতিবার সব সূচক উত্থানে দিন শেষ হয়েছে। সেখানে বেশিরভাগ শেয়ারের দর বাড়ার পাশাপাশি লেনদেনও বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি।
সিএসইর সার্বিক সূচক সিএসপিআই বেড়েছে ৬৫ পয়েন্ট, অবস্থান নিয়েছে ১৫ হাজার ৮৯ পয়েন্টে। সিএসসিএক্স সূচক বেড়েছে ৩৪ পয়েন্ট, দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ২৭৮ পয়েন্টে। বাজারে লেনদেনে অংশ নেয় ২১২টি সিকিউরিটিজ। এর মধ্যে ১২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ২১টির দর অপরিবর্তিত ছিল। দিন শেষে সিএসইতে মোট লেনদেন দাঁড়ায় ২১ কোটি ৭১ লাখ টাকায়। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১০ কোটি ১৩ লাখ টাকার। ফলে দিনের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ১১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।

