স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড থেকে গ্রাহকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয়, এ নিয়ে নতুন করে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। সমস্যার দ্রুত সমাধান ও মূল কারণ চিহ্নিত করতে ব্যাংকের কর্মকর্তারা ইতিমধ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে কাজ শুরু করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের অসুবিধা এড়াতে তাদের কার্ডে ইতিমধ্যে অর্থ ফেরত দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২৪ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত হয়—স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ৫৪ গ্রাহকের ক্রেডিট কার্ড থেকে প্রায় ২৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র। এর প্রেক্ষিতেই আজ ব্যাংকটির পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়। বিবৃতিতে সই করেন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স, ব্র্যান্ড অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের কান্ট্রি হেড বিটপী দাশ চৌধুরী।
বিবৃতিতে জানানো হয়, চলতি সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে কিছু গ্রাহকের ক্রেডিট কার্ড থেকে অনুমতি ছাড়াই প্রতারণামূলক লেনদেনের অভিযোগ আসতে শুরু করে। এসব ঘটনায় গ্রাহকদের ওটিপি ব্যবহার করে টাকা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) স্থানান্তর করা হয়। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গ্রাহকের সুরক্ষায় তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেয় ব্যাংক।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয় বিবৃতিতে বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি পর্যবেক্ষক দল ঘটনাটির প্রক্রিয়া ও সিস্টেম পর্যালোচনা করছে। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছেও বিষয়টি জানিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের অর্থ ইতিমধ্যে ফেরত দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষ হলে ফলাফলের ভিত্তিতে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনো ঘাটতি পাওয়া যায়নি। ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও মোবাইল অ্যাপ সম্পূর্ণ এনক্রিপ্টেড ও নিরাপদ। গ্রাহকেরা এসব প্ল্যাটফর্ম থেকে সহজে এমএফএসে অর্থ স্থানান্তর করতে পারেন। তবে গ্রাহকের সুরক্ষার জন্য সাময়িকভাবে অ্যাপ ও এমএফএস পোর্টালে ‘অ্যাড মানি’ ফিচার বন্ধ রাখা হয়েছে।
ব্যাংক জানায়, এরই মধ্যে নেওয়া পদক্ষেপে কয়েকজন গ্রাহক সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক হাসিন হায়দার তাঁর ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া শেয়ার করেছেন। ব্যাংকের প্রতিনিধিরা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেছেন। বিবৃতির শেষে বলা হয়, “স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড গত ১২০ বছর ধরে দেশের মানুষের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার অংশীদার। গ্রাহকের আর্থিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তাই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।”

