যমুনা সেতুর বর্তমান রেল লেনের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে ডেক সংস্কার ও সংশ্লিষ্ট কাজের সম্ভাব্যতা যাচাই, বিস্তারিত নকশা প্রণয়ন এবং ভবিষ্যতে একটি নতুন অ্যানেক্স সেতু নির্মাণের প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ও আইইউটি-ডেভকন জেভি’র মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আজ রোববার বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষে প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদাউস এবং আইইউটি-ডেভকন জেভি’র পক্ষে অধ্যাপক ড. শাকিল মোহাম্মদ রিফাত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি অনুযায়ী আইইউটি-ডেভকন জেভি’র সঙ্গে ১৪ কোটি ২৯ লাখ ৮৫ হাজার ৪০৫ টাকা ৪১ পয়সার কাজ সম্পাদনের দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে। কাজটি আগামী ২১ মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে।
চুক্তির আওতায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান যমুনা সেতুর ডেকের ওপরের সকল উপাদান পুনর্বিন্যাস করে বর্তমান ৬.৩১৫ মিটার প্রশস্ত দুই-লেন একমুখী ট্রাফিককে ৭.৩০ মিটার প্রশস্ত দুই-লেন একমুখী ট্রাফিকে রূপান্তরের কারিগরি পরামর্শ প্রদান করবে। এছাড়া সমীক্ষা প্রতিবেদন ও নকশা প্রণয়নসহ নির্মাণ কাজের ঠিকাদার নিয়োগের বিওকিউ, কারিগরি স্পেসিফিকেশন এবং দরপত্র দলিল প্রস্তুত করা হবে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজের তদারকিতেও সহায়তা দেবে। কাজ শেষ হলে সেতুর ওপর ও এপ্রোচ রোডে বিশেষ করে ঈদকালে যানজট কমে যাবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, “দ্রুত চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করে জনভোগান্তি লাঘব করা হবে। নতুন রেল সেতু চালু হওয়ার পর যমুনা সেতুর মূল কাঠামোর ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এই চুক্তি বর্তমান রেল লেনের ডেক সংস্কার ও আনুষঙ্গিক কাজের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে সহায়ক হবে এবং সেতুটি যথাযথভাবে ব্যবহারযোগ্য হবে।”
তিনি আরও জানান, দেশের ক্রমবর্ধমান ট্রাফিক চাপ এবং পূর্ব-পশ্চিম অঞ্চলের দ্রুত যোগাযোগ নিশ্চিত করতে যমুনা নদীর পাশে নতুন অ্যানেক্স সেতু নির্মাণের প্রস্তাবের প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাইও করা হবে। এই যাচাইয়ে নতুন সেতুর সম্ভাব্য স্থান, কারিগরি চ্যালেঞ্জ, অর্থনৈতিক প্রভাব এবং পরিবেশগত দিকসমূহ বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করা হবে। অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগ, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং আইইউটি-ডেভকন জেভি’র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।