অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা, শিক্ষা এবং বিনিয়োগের নতুন সম্ভাবনা নিয়ে সিডনিতে শেষ হয়েছে ‘অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস এক্সপো ২০২৫’। দুই দিনব্যাপী এ আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হয় সিডনির গুলবার্ন স্ট্রিটের মেসনিক সেন্টারে। এক্সপোর আয়োজন করে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম। গতকাল বিকেলে এর আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
গত বুধবার মর্যাদাপূর্ণ এ এক্সপোর উদ্বোধন করেন নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স এমপি। উদ্বোধনীতে তিনি দুই দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন।
দ্বিতীয় দিনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউ সাউথ ওয়েলসের ইন্ডাস্ট্রি ও ট্রেডমন্ত্রী অনুলাক চান্থিভং। তিনি প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন এবং অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তা ও নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার হলে উভয় দেশের অর্থনীতি উপকৃত হবে এবং নতুন বিনিয়োগ সম্ভাবনার পথ খুলবে। এক্সপোর মূল আকর্ষণ ছিল তিনটি প্যানেল সেশন।
সকালে ‘বিল্ডিং টুমরো: ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং পার্টনারশিপস ফর গ্রোথ’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেন ক্যাম্বেলটাউন সিটির মেয়র ডার্সি লন্ড, কর্ণফুলি গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সামিউর ইসলাম, স্প্যারো গ্রুপের চেয়ারম্যান শোভন ইসলাম ও কাম্বারল্যান্ড সিটি কাউন্সিলের ম্যানেজার ক্রিস মানোস্কি।
দুপুরে শিক্ষাবিষয়ক আলোচনায় যোগ দেন স্টাডি এনএসডব্লিউর অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ভিকি ক্লেয়ার, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ড. সবুর খান এবং ম্যাকোয়ারি ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক নিয়োগ পরিচালক তানভীর শাহিদ। সেশনটি পরিচালনা করেন অস্ট্রেড বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মেঘা গুপ্তা। প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন শোভন ইসলাম ও কাউন্সিলর শিবলী চৌধুরী।
বিকালে শেষ সেশনে ‘পাওয়ারিং পার্টনারশিপস: অস্ট্রেলিয়া অ্যান্ড বাংলাদেশ ইন দ্য রিনিউয়েবল এনার্জি ট্রানজিশন’ বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন অস্ট্রেলিয়ান সিনেটর ডেভ শর্মা, রিভারী পাওয়ার অ্যান্ড অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক, ডাব্বো রিজিওনাল কাউন্সিলের ডিরেক্টর জেসিকা ব্রাউন, স্মার্ট এনার্জি অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধি উইল কার এবং এনএসডব্লিউ সরকারের ক্লিন এনার্জি বিভাগের পরিচালক টিম স্টক।
এবারের আয়োজনে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) নয় সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। তারা অস্ট্রেলিয়ান ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে বৈঠক করে। পাশাপাশি তারা পণ্য প্রদর্শনী, নেটওয়ার্কিং সেশন, বিটুবি মিটিং ও বিভিন্ন সেমিনারে অংশ নেয়।