বাংলাদেশ এবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম এবং ভারত থেকে নন‑বাসমতি চাল আমদানি করবে। দুই ধরনের খাদ্যশস্যের জন্য সরকারের মোট ব্যয় হবে ১০৪৪ কোটি টাকা।
আগের একটি চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশ প্রতিবছর ৭ লাখ টন গম যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিনবে। এই ক্রয়ের মাধ্যমে দেশটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুল্ক ছাড় পাওয়ার সুযোগ তৈরি করবে। আজ রাজধানীর সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ চুক্তি অনুমোদন করা হয়েছে।
প্রথম চুক্তির অধীনে সরকার থেকে সরকার ব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২২০,০০০ টন গম আনা হবে। খাদ্য অধিদপ্তর এই আমদানির দায়িত্বে থাকবে। গম সরবরাহ করবে এগ্রোকর্প ইন্টারন্যাশনাল, যা ইউএস উইট অ্যাসোসিয়েটসের অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান। প্রতি টনের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০৮ ডলার। এই আমদানির মোট খরচ দাঁড়াবে ৮২৫.৩১ কোটি টাকা।
দ্বিতীয় চুক্তির মাধ্যমে ভারত থেকে ৫০,০০০ টন নন‑বাসমতি চাল কেনা হবে। আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে বাগাডিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেডকে এই চুক্তি দেওয়া হয়েছে। প্রতি টনের দাম ৩৫৯.৭৭ ডলার। চালের জন্য মোট ব্যয় হবে ২১৯.০৯ কোটি টাকা।
এর মধ্যেও ভারত চাল রফতানিতে কিছু শর্ত আরোপ করেছে। এখন রফতানিকারককে কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য পণ্য রপ্তানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবন্ধন করতে হবে। তবে বাংলাদেশ এখনও ভারতের নন‑বাসমতি চালের অন্যতম বড় ক্রেতা দেশ।