আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানোর পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। সংস্থাটির এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের উপপরিচালক থমাস হেলব্লিং জানিয়েছেন, রিজার্ভ বাড়ার পদ্ধতি দেশের নিজস্ব বিনিময় হার নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা, তা পর্যালোচনা করবে শীঘ্রই ঢাকায় আসা একটি মিশন।
গত শুক্রবার হংকংয়ের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ওপর আইএমএফের আউটলুক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। একই সঙ্গে বক্তব্য দেন এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের সহকারী পরিচালক লি চুঁই।
গত কয়েক সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজার থেকে ডলার কিনেছে। এ বিষয়ে আইএমএফের পর্যবেক্ষণ জানতে চাইলে থমাস হেলব্লিং বলেন, বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য বজায় রাখতে বাংলাদেশের পদক্ষেপকে সংস্থাটি স্বাগত জানায়। রিজার্ভ বাড়ানোর উদ্যোগও সঠিক এবং সময়োপযোগী। তবে ঋণ কর্মসূচির পঞ্চম পর্যালোচনায় ঢাকায় আসা প্রতিনিধি দল বিস্তারিত পর্যালোচনা করবে। তারা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে মুদ্রাবিনিময় হার ব্যবস্থাপনার বাস্তব চিত্র বুঝবে।
তিনি আরও বলেন, রিজার্ভ শক্তিশালী করা এবং বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যের ঝুঁকি কমানোই আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির মূল লক্ষ্য। তবে রিজার্ভ বাড়ানোর পদ্ধতি দেশের বিনিময় হার নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।
বর্তমানে বাংলাদেশের সঙ্গে আইএমএফের ৫৫০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচি চলছে। এর আওতায় ইতিমধ্যে পাঁচ কিস্তিতে মোট ৩৬০ কোটি ডলার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। পরবর্তী ষষ্ঠ কিস্তির শর্তাবলী বাস্তবায়ন পর্যালোচনা করতে ২৯ অক্টোবর ঢাকায় একটি প্রতিনিধি দল আসবে। তারা প্রায় দুই সপ্তাহব্যাপী দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যাচাই করবে। প্রতিনিধি দল অর্থ মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ষষ্ঠ কিস্তি মূলত ডিসেম্বর শেষে বা জানুয়ারির প্রথমার্ধে মুক্তির পরিকল্পনা ছিল। তবে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে নতুন সরকার আইএমএফের ঋণ শর্ত মানবে কিনা, তার নিশ্চয়তা পেতে সংস্থা এই সময় ধরে যাচাই করতে চায়।

