বৈদেশিক বাণিজ্যের সক্ষমতা বাড়াতে এবং খাতভিত্তিক ব্যবসা উন্নয়ন কার্যক্রমকে সমন্বিত করতে নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া প্রকাশ করে অংশীজনদের মতামত চেয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
খসড়ায় বলা হয়েছে, বাণিজ্য পদ্ধতি সহজ করা, পণ্য ও বাজারে বৈচিত্র্য আনা এবং আন্তর্জাতিক বিধিবিধান মেনে ব্যবসার মান উন্নয়নই মূল লক্ষ্য। এর অংশ হিসেবে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে বাংলাদেশ বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করা হবে। এ কাউন্সিল দেশীয় উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা অ্যাসোসিয়েশনকে যৌথভাবে সহায়তা দেবে।
ঢাকায় থাকবে কাউন্সিলের প্রধান কার্যালয়। সরকারের অনুমোদন নিয়ে দেশের অন্যান্য জায়গায় শাখা কার্যালয় খোলা যাবে। প্রতিষ্ঠানটির একটি ১০ সদস্যের পরিচালনা বোর্ড থাকবে, যার চেয়ারম্যান হবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব। বোর্ডের নির্দেশনাতেই কাউন্সিলের সব কার্যক্রম পরিচালিত হবে। খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, সম্ভাবনাময় খাতভিত্তিক কাউন্সিল গঠন ও সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকবে এই কেন্দ্রীয় কাউন্সিল। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ আয়োজন, খাতভিত্তিক গবেষণা ও উদ্ভাবনকে উৎসাহ দেওয়া, সেমিনার, কর্মশালা ও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মেলায় অংশগ্রহণে সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনগুলোকেও সহায়তা দেওয়া হবে।
রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে মানসম্মত পণ্য উৎপাদনে আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন বিষয়ে সচেতনতা তৈরি এবং প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেট অর্জনে সহায়তা করবে কাউন্সিল। সার্বিকভাবে এটি উৎপাদক, রপ্তানিকারক ও বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যে কার্যকর যোগসূত্র গড়ে তুলবে।
এ বিষয়ে বাণিজ্য সচিব মহবুবুর রহমান বলেন, বর্তমানে প্রায় আটটি পণ্য ও সেবাভিত্তিক বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল কার্যক্রম পরিচালনা করছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এগুলো সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা পাচ্ছে। কিন্তু আইনি ভিত্তি না থাকায় অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয় প্রশ্ন তোলে। তাই কার্যক্রমকে আইনি কাঠামোর আওতায় আনতে এই আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনা এবং ক্ষুদ্র শিল্পকে আরও এগিয়ে নিতে কাউন্সিলগুলোর ভূমিকা আরও জোরদার হবে।

